শিক্ষার্থীদের অনশন ভেঙে আলোচনায় বসার আহ্বান
ঢাকা নিউজ হাব প্রতিবেদক

অনশন ভেঙে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) চলমান পরিস্থিতি নিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় হেয়ার রোডে মন্ত্রীর বাসায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষকের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে এই আহবান জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, শাবিতে পুলিশি আচরণ দুঃখজনক। শিক্ষকদেরও লাঞ্ছিত করা হয়েছে। দুটোই অনভিপ্রেত। আমরা চাই, শিক্ষার্থীরা অনশন থেকে সরে এসে আলোচনায় বসুক। তারা চাইলে অনশনরত অবস্থাতেও আলোচনায় বসতে পারেন। আলোচনাই একমাত্র সমস্যা সমাধানের উপায়।
এ আন্দোলনে অন্য কারো ইন্ধন রয়েছে কিনা, অন্য কারো হাত রয়েছে কিনা তা আমি জানি না। আপনারা এটি খতিয়ে দেখতে পারেন। শিক্ষার্থীরা অনশন করছে এতে আমরা কষ্ট পাচ্ছি। আবার শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের সঙ্গে যে আচরণ করছে তাও গ্রহণযোগ্য নয়।
সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে শিক্ষামন্ত্রীর হেয়ার রোডের বাসায় এই বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে শাবিপ্রবির পাঁচজন শিক্ষক উপস্থিত হন। বৈঠকে ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি তুলসী সাহার নেতৃত্বে পাঁচজন শিক্ষক ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সংগঠন বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনায় শাবিপ্রবির প্রতিনিধি দলের মধ্যে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি তুলসী কুমার দাস, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মুহিবুল আলম, ফিজিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন মো. রাশেদ তালুকদার, অ্যাপ্লায়েড সায়েন্সেস অনুষদের ডিন আরিফুল ইসলাম এবং ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন খায়রুল ইসলাম।
এই প্রতিনিধি দল শুক্রবার রাতে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে ঢাকায় আসেন।
শুক্রবার বিকালে শিক্ষামন্ত্রী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলেন। তিনি আলোচনার জন্য শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দলকে ঢাকায় আসতে বলেন। মন্ত্রীর সেই প্রস্তাবে প্রাথমিকভাবে রাজি হয়ে ৫ জনের প্রতিনিধি দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত জানায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। পরে সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে ভার্চুয়াল বৈঠক অথবা শিক্ষামন্ত্রীকে ক্যাম্পাসে আসার অনুরোধ জানায় তারা।
শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বর থেকে কাফনের কাপড় পরে মৌন মিছিল বের করেন অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী। এ সময় প্রতীকী লাশ কাঁধে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করেন তারা। পরে একই স্থানে এসে প্রতীকী লাশ সামনে রেখে শিক্ষার্থীরা কয়েক মিনিট অবস্থান করেন।
অনশনকারী শিক্ষার্থীদের শারীরিক অবস্থা ক্রমেই খারাপের দিকে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মো. নাজমুল হাসান। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অসুস্থ ১৭ জন শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।