অপরিশোধিত তেলের দাম ৯০ ডলার ছুঁয়েছে

অপরিশোধিত তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ৯০ মার্কিন ডলার ছুঁয়েছে । ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমাদের উত্তেজনা বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে সরবরাহে বিঘ্ন ঘটতে পারার আশঙ্কায় তেলের দাম বাড়ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
২০১৪ সালের অক্টোবরের পর প্রথমবার বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের বেঞ্চমার্ক ব্রেন্টের দাম ৯০ ডলার পার হতে দেখা গেছে বুধবার। তবে দিনশেষে এর লেনদেন ব্যারেল প্রতি ৮৯ দশমিক ৯৬ ডলারে স্থির ছিল। এদিন ব্রেন্টের দাম বেড়েছে ২ শতাংশ বা ১ দশমিক ৭৬ ডলার।
২ শতাংশ দাম বেড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটেরও । বুধবার ডব্লিউটিআইয়ের দাম ১ দশমিক ৭৫ ডলার বেড়ে প্রতি ব্যারেল ৮৭ দশমিক ৩৫ ডলারে বিক্রি হয়েছে।
গত কয়েকদিনে ইউক্রেন সীমান্তে কয়েক হাজার সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। মস্কো যেকোনো সময় ইউক্রেন আক্রমণ করতে পারে আশঙ্কায় এরই মধ্যে কড়া নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো। এতে ইউরোপে রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। দেশটি বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম তেল রপ্তানিকারকও বটে।
এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল প্ল্যাটসের প্রধান ভূ-রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও বিশ্লেষক পল শেলডন বলেন, বাজারগুলো সরবরাহে বিঘ্ন ঘটার ভয়ে রয়েছে। জ্বালানি সরবরাহ সম্ভবত অব্যাহত থাকবে।
গত মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করলে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে ওয়াশিংটন।
মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম তেল রপ্তানিকারক সংযুক্ত আরব আমিরাতে সম্প্রতি হুথি বিদ্রোহীদের হামলা বেড়েছে। গত সোমবারও তারা আমিরাতের একটি ঘাঁটি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।
ভূরাজনৈতিক উত্তেজনায় আগে থেকেই সংকটে থাকা জ্বালানি বাজারে নতুন উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। মাসিক তেল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে হিমশিম খাচ্ছে ওপেক প্লাস। যুক্তরাষ্ট্রে আগের রেকর্ডের তুলনায় দৈনিক প্রায় ১০ লাখ ব্যারেল তেল কম উৎপাদন হচ্ছে।
২ ফেব্রুয়ারি বৈঠকে বসছে তেল রপ্তানিকারক ও তাদের সহযোগী দেশগুলোর জোট ওপেক প্লাস। ওই বৈঠকে তেল উৎপাদন বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হতে পারে।