Sub Lead Newsআইন-আদালত

অভিযান-১০ এর তিন মালিককে আদালতে হাজিরার নির্দেশ

আদালত প্রতিবেদক

এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে আগুনের ঘটনায় কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে করা মামলায় লঞ্চের তিন মালিককে আদালতে হাজির করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। লঞ্চের তিন মালিক হলেন, হামজালাল শেখ, মো. শামীম আহমেদ ও মো. রাসেল আহম্মেদ।

মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) নৌ আদালতের বিচারক স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জয়নাব বেগমের আদালতে তাদের ‘শ্যোন এরেস্ট’ দেখিয়ে কারাগার থেকে আদালতে আনতে আবেদন করেন রাষ্ট্রপক্ষে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের প্রসিকিউটিং অফিসার বেল্লাল হোসাইন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আসামিদের গ্রেফতার দেখিয়ে আগামী ১৯ জানুয়ারি আদালতে হাজির করতে নির্দেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষে নৌপরিবহন অধিদপ্তর এর প্রসিকিউটিং অফিসার বেল্লাল হোসাইন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে রোববার (২ জানুয়ারি) নৌ আদালতের বিচারক স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জয়নাব বেগমের আদালতে লঞ্চের ইনচার্জ চালক মো. মাসুম বিল্লাহ ও দ্বিতীয় চালক আবুল কালাম আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ২৮ ডিসেম্বর একই আদালতে লঞ্চের ইনচার্জ মাস্টার মো. রিয়াজ সিকদার ও দ্বিতীয় মাস্টার মো. খলিলুর রহমান আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। বিচারক তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে গত ২৬ ডিসেম্বর স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জয়নাব বেগমের নৌ আদালতে নৌ অধিদপ্তরের প্রধান পরিদর্শক মো. শফিকুর রহমান স্পেশাল মেরিন আইনের ধারায় অভিযোগ এনে আট জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মামলার আসামিরা হলেন- লঞ্চের মালিক প্রতিষ্ঠান মেসার্স আল আরাফ অ্যান্ড কোম্পানির চার মালিক মো. হামজালাল শেখ, মো. শামিম আহম্মেদ, মো. রাসেল আহাম্মেদ ও ফেরদৌস হাসান রাব্বি। এছাড়া লঞ্চের ইনচার্জ মাস্টার মো. রিয়াজ সিকদার, ইনচার্জ চালক মো. মাসুম বিল্লাহ, দ্বিতীয় মাস্টার মো. খলিলুর রহমান ও দ্বিতীয় চালক আবুল কালাম।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২৩ ডিসেম্বর আনুমানিক সন্ধ্যা ৬টার দিকে সদরঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে এমভি অভিযান-১০ বরগুনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। লঞ্চটি ঝালকাঠির নলছিটি থানা এলাকা অতিক্রম করার পর রাত আনুমানিক ৩টায় ইঞ্জিন রুমে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর লঞ্চ ঘাটের অনেক আগেই জাহাজে থাকা যাত্রীদের অনেকে নদীতে লাফ দেন। আগুনে কেবিন সহ লঞ্চে থাকা বাকি যাত্রীরা সবাই পুড়ে যায়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button