
বিধিনিষেধের শুরুর দিনই সিদ্ধান্ত বদলের খবর এলো। করোনা প্রতিরোধে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে বাস চলাচলের যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, সেটি থেকে সরে এসেছে সরকার। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গণপরিবহণে যত আসন রয়েছে তত যাত্রী পরিবহণ করা হবে।
আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির সভাপতি খন্দকার এনায়েত উল্লাহ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার আমাদের জানিয়েছেন শনিবার থেকে গণপরিবহণের যত আসন রয়েছে তত যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে পারবে। কারণ অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করলে পরিবহণ সংকট দেখা দেয়। এক্ষেত্রে যাত্রী এবং পরিবহণ চালক ও হেলপারদের কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা সব পরিবহণ মালিকদের বিআরটিএর এই বার্তা পৌঁছে দিয়েছি। এক্ষেত্রে যারা সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মানবে না তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কয়েক সপ্তাহ ধরে দেশে নতুন করে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই। এতে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নতুন করে ১১ দফা নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়েছে।
সরকারি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিধিনিষেধ কার্যকরের তারিখ সহ সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা জারি করবে। আর সব ধরনের যানবাহনের চালক ও সহকারীদের আবশ্যিকভাবে করোনার টিকার সনদ থাকতে হবে।
গত সোমবার (১০ জানুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা ওই প্রজ্ঞাপনে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৩ জানুয়ারি থেকে মোট আসনের অর্ধেক যাত্রী নিয়ে বাস চলাচলের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
ওই নির্দেশনার পর থেকেই ভাড়া বাড়ানোর জন্য সরকারের ওপর চাপ দেওয়া শুরু করেন বাস মালিক কর্তৃপক্ষ। এ পরিস্থিতিতে বিআরটিএ প্রধান কার্যালয় বনানীতে বুধবার বিকালে (১২ জানুয়ারি) সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে বৈঠকে বসেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার।
মালিক শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিআরটিএ চেয়ারম্যান জানান, শনিবার থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এক সিট ফাঁকা রেখে যাত্রী নিয়ে গণপরিবহণ চলবে। ভাড়া বাড়বে না। বিদ্যমান ভাড়ায় যাত্রী পরিবহণ করতে হবে। তবে মালিকরা সরকারের কাছে যত সিট তত যাত্রী নিয়ে চালানোর অনুমতি চেয়ে অনুরোধ জানিয়েছেন।
তবে ঘোষণার পরের দিনই সিন্ধান্ত বদল হয়ে, যত আসন তত যাত্রী পরিবহণের সিদ্ধান্ত এলো।