জাতীয়স্বাস্থ্য

আফসোস জনগণ কথায় কর্ণপাত করেনি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ অতি দ্রুত বাড়তে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এ অবস্থায় তিনি আফসোস প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আমরা আগেই বলেছিলাম স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। মাস্ক পরতে হবে। কেউ এসব বিষয়ে  আমাদের কথায় কর্ণপাত করেনি।

রোববার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে দেশের আট বিভাগীয় শহরে ৪৬০ শয্যা বিশিষ্ট সমন্বিত ক্যানসার, কিডনি ও হৃদরোগ ইউনিটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, গণজমায়েত কমাতে হবে বলেছিলাম , সামাজিক অনুষ্ঠানগুলো স্বাস্থ্য বিধি অনুযায়ী করতে হবে। আফসোস এর বিষয়, কোনো একটা লোকও এসব বিষয়ে কান দেননি। ফলে দেশে সংক্রমণের হার বাড়ছে। একইসঙ্গে হাসপাতালের রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন দেশে সংক্রমণের হার বাড়ছে। যখন থেকে সংক্রমণ বাড়া শুরু হয়েছে, তখন থেকেই আমরা সতর্কতা নিয়ে প্রচার করে যাচ্ছি।


এ সংক্রান্ত আরো নিউজ পড়ুন…


করণীয় প্রসঙ্গে জাহিদ মালেক বলেন, ইতোমধ্যে সরকারিভাবে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মানতে আজ অথবা কালের মধ্যেই একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। এর মাধ্যমে পূর্বে যে নির্দেশনাগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছিল, সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য সারাদেশে বার্তা চলে যাবে।

আমরা যতই নির্দেশনা পাঠাই না কেন, জনগণের ওপর নির্ভর করবে তারা এটা মানছে কি না। কাজেই নিজেদেরই সচেতন হতে হবে। শিশুরা সংক্রমিত হচ্ছে, এমনকি বয়স্করাও সংক্রমিত হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, সংক্রমণ এভাবে বাড়তে থাকে তাহলে সরকারকে কঠোর ভূমিকা নিতে হবে।

গত এক সপ্তাহ আগেও দেশে দৈনিক দুই থেকে আড়াইশো মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এখন সংক্রমণ প্রায় ৬ শতাংশের কাছাকাছি। রোগীর সংখ্যাও আড়াইশো থেকে বেড়ে গিয়ে এগারোশোর ওপরে চলে এসেছে। এটা আমাদের জন্য খুবই আশঙ্কাজনক।

দেশে আশঙ্কাজনকভাবে ক্যানসার বাড়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ক্যান্সারে প্রতি বছরে এক লাখ মানুষ মারা যায়। ভেজাল খাদ্য, মাদক, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনসহ বেশকিছু কারণে এসব মৃত্যু হয়ে থাকে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক ভিসি ও সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, অধ্যাপক মো. ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ,  সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম প্রমুখ।

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button