
আমার কি চাকরি নেই? টুইটারের মালিক ইলন মাস্কের কাছে কোম্পানির এক কর্মী জানতে চেয়েছেন, তাকে কোম্পানি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে কিনা।
কোম্পানির প্রধান নির্বাহীকে উদ্দেশ্য করে এক টুইটে হালি থরলিফসন নামের ওই কর্মী বলেন, আমার চাকরি আছে কিনা, তা নিশ্চিত করতে পারছেন না আপনার কোম্পানির মানব সম্পদ বিভাগের প্রধান।
এর জবাবে মাস্ক জিজ্ঞেস করেন, আপনি কোন ধরনের কাজ করছেন?
বিবিসিকে থরলিফসন বলেন, তার টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধের নয় দিন পরও তিনি জানতেন না, তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে কিনা।
অনেকটা চাকরীর সরাসরি ইন্টারভিউয়ের মতো পড়তে মাস্কের সঙ্গে তার এই প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষে এক মেইল বার্তায় নিজের ছাঁটাইয়ের বিষয়টি নিশ্চিত হন থরলিফসন।
টুইটারের পণ্য নকশা বিভাগের জ্যেষ্ঠ পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন ৪৫ বছর বয়সী থরলিফসন। তিনি বিবিসিকে আরও বলেন, তার চাকরি নিয়ে ঘটিত ধোঁয়াশা ‘অদ্ভুত’ ও ‘অত্যন্ত ক্লান্তিকর’ ছিল।
নয় দিন আগে রোববার সকালে নিজের কম্পিউটার চালু করে দেখি এর স্ক্রিনের রঙ ‘ধূসর’ ও এটি লক হয়ে গেছে। এর থেকে ইঙ্গিত মেলে আমাকে টুইটার অ্যাকাউন্টগুলো থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। তিনি এর পর থেকে মানব সম্পদ বিভাগের প্রধান আমাকে দুবার মেইল পাঠিয়েও নিশ্চিত করতে পারেননি আমি কি বরখাস্ত হয়েছি কিনা।
বেশ কিছু সম্পূরক প্রশ্নের পর থরলিফসন কোম্পানিতে নিজের কার্যক্রমের এক তালিকা সরবরাহ করেন। এই কথোপকথন শেষ হয় মাস্কের দুটি হাসির ইমোজির মাধ্যমে।
আমার কি চাকরি নেই?
২০২১ সালের শুরুতে নিজের ‘ইউএনো’ নামের ক্রিয়েটিভ এজেন্সি টুইটারের কাছে বিক্রি করেন আইসল্যান্ড ভিত্তিক এই উদ্যোক্তা। ২০১৪ সালে দেশটির রিকজাভিক শহরে কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠা করেন তিনি।
বিবিসি’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, টুইটারের কাছে নিজের কোম্পানি বিক্রির সময় ঘটিত চুক্তিতে মাস্ক সমর্থন দেবেন কি না, তা নিয়ে শঙ্কিত থরলিফসন।
গত মাসে টুইটারের আরও দুইশ কর্মী ছাঁটাই করেন মাস্ক। এর মানে অক্টোবরের আনুমানিক সাড়ে সাত হাজার কর্মী থেকে কমতে কমতে টুইটারে এখন কেবল দুই হাজারের সামান্য বেশি কর্মী রয়েছে।