
সপ্তম ধাপে ১৩৮ ইউনিয়ন পরিষদে ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা। ২০ জেলার ২৬ উপজেলার এসব ইউপিতে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোট গ্রহণ চলে।
এই ধাপে ১১ জন চেয়ারম্যান, ১২ জন সংরক্ষিত সদস্য ও ৪৬ জন সাধারণ সদস্য বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। সাতটি ইউনিয়ন পরিষদে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোট হয়েছে। বাকি ১৩১টিতে কাগজের ব্যালটে ভোট হয়েছে।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, এসব ইউপিতে শেষ মুহূর্তের নির্বাচন সুষ্ঠু করতে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কয়েকটি উপজেলায় নির্দিষ্ট সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যের পাশাপাশি বাড়তি সদস্য মোতায়েন ছিল।
এদিকে সপ্তম ধাপের নির্বাচনেও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় সহিংসতায় এক কিশোরসহ দুজন নিহত হয়েছেন। সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) নলুয়া ও বাজালিয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। এছাড়া বেশকিছু কেন্দ্রে গোলাগুলি ও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
ইসির নির্বাচন কমিশন শাখা জানায়, এ ধাপে পাঁচ হাজার ৮৭৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৭৬ জন প্রার্থী। সংরক্ষিত নারী মেম্বার পদে এক হাজার ২৩৬ জন প্রার্থী। এছাড়া সাধারণ মেম্বার পদে চার হাজার ৬২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ধাপের নির্বাচনে মোট ভোটকেন্দ্র এক হাজার ৩৫০টি, ভোটকক্ষ সাত হাজার ৮৫টি।
মোট ভোটার ২৪ লাখ ৫১ হাজার ৭৮২ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ১২ লাখ ৫৭ হাজার ৫৮৬ জন এবং নারী ১১ লাখ ৯৪ হাজার ২২৯ জন। এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ছিলেন তিনজন।
এরই মধ্যে ছয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। গত ২১ জুন ও ২০ সেপ্টেম্বর প্রথম ধাপের দুই দফায় ৩৬৯টি এবং ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে ৮৩৩টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপে এক হাজার ইউপিতে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। চতুর্থ ধাপে ২৬ ডিসেম্বর ৮৩৬ ইউপিতে ভোট হয়েছে। ৫ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপে ৭০৮টি ইউনিয়ন পরিষদে ভোট হয়। এরপর ষষ্ঠ ধাপে ২১৬ ইউপিতে ৩১ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ করা হয়। আর অষ্টম ধাপে আটটি ইউনিয়ন পরিষদের ভোট নেওয়া হবে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি।