রংপুরসারা বাংলা

ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ

নীলফামারী প্রতিনিধি

নীলফামারীর  সৈয়দপুরে বোতলাগাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মো: মনিরুজ্জামান জুনের বিরুদ্ধে সীমাহীন দূনীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার  অভিযোগ তুলেছেন ইউপি সদস্যরা।
সরজমিনে সোমবার দুপুরে বোতলাগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদে গেলে দেখা মেলে কয়েকজন ইউপি সদস্যর সাথে।  তারা জানায়,ইউপি চেয়ারম্যান জুনের বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগের সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত আমরা কোন মিটিং এ উপস্থিত হবো না। রেজুলেশনে সই স্বাক্ষর করবো না। পুরো পরিষদের সম্মতি না নিয়েই একক সিদ্ধান্ত গ্রহন করছেন।
গত ২৮ নভেম্বর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন, ৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য মহির উদ্দিন। এতে আরো স্বাক্ষর করেছেন, ২নং ওয়ার্ড সদস্য মমিনুর রহমান সরকার, ৬নং ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল  মামুদ, ৮নং ওয়ার্ড সদস্য মো: হাচানুর রহমান চৌধুরী, ৭ নং ওয়ার্ড সদস্য আবুল কালাম আজাদ, ওয়ার্ড সদস্য রবিউল ইসলাম, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ফাতেমা বেগম, মোছাঃ শিউলী বেগম ও রুমানা বেগম।
এ ছাড়াও ওই ইউনিয়নের এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,চলতি বছরের ২৩ আগস্ট ভিজিডি চাল ওজনে কম দেওয়া ও টাকা নেওয়ার অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সত্যতা খুঁজে পান।ওই  কর্মকর্তার সুপারিশের ভিওিতে চেয়ারম্যান কে কারন দর্শনো নোটিশ দেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায, ইউপি চেয়ারম্যান মো: মনিরুজ্জামান জুন ভিজিডি এক পারসেন্ট সহ সকল প্রকল্প পরিষদের রেজুলেশন ছাড়াই উপজেলায় দাখিল করেন। এছাড়াও পরিষদের ট্রেড লাইসেন্স এবং ট্যাক্স আদায়েরর টাকা ক্যাশে জমা না করে মনগড়া ভাবে খরচ করছেন। আমরা দীর্ঘ আট মাস থেকে মাসিক সম্মানী ভাতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। চেয়ারম্যান একজন দূনীতিবাজ লোক তা ইতিমধ্যে প্রমানিত হয়েছে। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে যে অভিযোগ করা হয়েছিল সে বিষয়ে সরেজমিন তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আহবান জানানো হয়।
এব্যাপারে বোতলাগাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মো: মনিরুজ্জামান জুন বলেন, আমার বিরুদ্ধে কতিপয় সদস্যকে ক্ষেপিয়ে তুলে ফায়দা নেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমি নিয়মতান্ত্রিক ভাবে পরিষদেও কার্যক্রম পরিচালনা করছি।
সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রায়হান ফয়সাল সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বোতলাগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য অভিযোগ পএ পেয়েছি। চেয়ারম্যান মোঃ মনিরুজ্জামান জুনের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুনীতির তদন্ত চলছে। দুনীতির অভিযোগ প্রমান হলে চেয়ারম্যান জুনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বোতলাগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সংরক্ষিত মহিলা সদস্য রুমানা বেগম বলেন, চেয়ারম্যান জুন দীর্ঘদিন ধরে রেজুলেশন ছাড়া প্রকল্প কাজ করে আমরা ইউপি সদস্যদের প্রয়োজন মনে করেন না। প্রকল্পের কাজ শেষে টাকা চেয়ারম্যান তুলে আত্মসাৎ করে। প্রকল্প বা টাকার হিসাব চাইলে বলেন,আমি কাউকে হিসাব দিতে চেয়ারে বসি নাই।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button