খেলাধুলা

ইতিহাস গড়তে টাইগারদের দরকার ৪০ রান

স্পোর্টস ডেস্ক

টেস্টের পঞ্চম দিনের শুরুটা রাঙ্গিয়ে দিলেন টাইগার দুই পেসার এবাদত হোসেন আর তাসকিন আহমেদ। আর তাতেই ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭ রানের লিড নিয়ে শুরু করা কিউয়িরা বেশিদূর এগুতে পারেননি। ৩৯ রানের লিড পেতেই অলআউট হয়েযায়। সঙ্গে নিয়ে যায় ১৬৯ রান। তাই ইতিহাস গড়তে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টে জয় ছুতে মাত্র ৪০ রান দূরে মুমিনুলের দল।

ম্যাচের প্রথম ইনিংসে কিউইদের ৩২৮ রানে আটকে দেয় বাংলাদেশ। পরে নিজেরা স্কোর বোর্ডে তোলে ৪৫৮ রান। এতে ১৩০ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে ব্ল্যাকক্যাপসরা। চতুর্থ দিনে ৫ উইকেট হারিয়ে কিউইদের সংগ্রহ ১৪৭ রান।

শুরুতেই ৩৭ রান নিয়ে খেলতে নামা কিউই ব্যাটসম্যান রস টেলর নেমে এদিন সকালে আটকে থাকেন ব্যক্তিগত ৪০ রানে। ২০১৩ সালে রবিউল ইসলামের পর এই প্রথম কোনো বোলার বিদেশের মাটিতে টেস্টে ইনিংসে পাঁচ উইকেট পেলো। ৬ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামা রাচিন আউট হন ১৬ রান করে।

বাংলাদেশের হয়ে এবাদত হোসেন নেন ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ছয় উইকেট। আগুনে বোলিংয়ে তাসকিনে দখলে ৩ উইকেট। আর বাকি উইকেট পান স্পিনার মেহেদি মিরাজ।

৪০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৩ রানের মাথায় সাউদির বলে সাজঘরে ফিরে যান সাদমান। ক্রিজে অপরাজিত আছেন মুমিনুল (০) ও শান্ত (০) রানে।

১৩০ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নেমে শুরুটা বেশ ভালোই করেছিল নিউজিল্যান্ড। ইনিংসের প্রথম ৮ ওভারে স্কোরবোর্ডে যোগ করে ফেলে ২৫ রান। তবে নবম ওভারেই ১৪ রান করা লাথামকে বোল্ড করে দেন তাসকিন আহমেদ। আউট হওয়ার আগে কিউই অধিনায়ক করেন ১৪ রান।

আক্রমণে এসে দারুণ বোলিং করতে থাকেন এবাদত। ইয়ং-কনওয়ের বেশ ভালো পরীক্ষা নেন তিনি। দুইবার ইয়ংয়ের ব্যাটের বাইরের কানায় লেগে বল স্লিপ অঞ্চল দিয়ে সীমানায় চলে যায়।

তবে ইনিংসের ২৫তম ওভারে আর হতাশ হতে হয়নি। এবাদতের করা সেই ওভারের দ্বিতীয় বলে কনওয়ের বিরুদ্ধে লেগ বিফোরের জোরালো আবেদন করে বাংলাদেশ। তবে সাড়া দেননি আম্পায়ার। রিভিউ নেয় বাংলাদেশ।

প্যাডে আঘাত হানার পর গালি অঞ্চলের দিকে উড়ে যাওয়া বল সামনের দিকে ঝাঁপিয়ে তালুবন্দি করেন সাদমান। লেগ বিফোর না হলেও ক্যাচ আউট পেয়ে যায় বাংলাদেশ। ফলে দলীয় ৬৩ রানে ভাঙে দ্বিতীয় উইকেট জুটি। কনওয়ের ব্যাট থেকে আসে ১৩ রান। এক ওভার পর আরেক ওপেনার উইল ইয়ংকে বোকা বানিয়েছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। তার ব্যাটের ভেতরের কানায় লাগা বলটি গ্লাভসে নিতে পারেননি উইকেটরক্ষক লিটন।

দ্বিতীয় সেশনের বাকি সময়টা নির্বিঘ্নেই পার করেন ইয়ং ও রস টেলর। তৃতীয় সেশনেও বোলিংয়ে দাপট দেখায় বাংলাদেশ।

শুধু রিভিউ বিভ্রাটই নয়, ফিল্ডিংয়েও বাজে অবস্থা করে টাইগাররা। ইনিংসের ৪২তম ওভারে মিরাজের বলে তুলে মেরেছিলেন টেলর। ডিপ মিড উইকেটে সহজ ক্যাচের সুযোগ ছিল সাদমান ইসলামের সামনে। বলের ফ্লাইট বুঝতে না পেরে সেটি ছেড়ে দেন সাদমান, ১৭ রানে বেঁচে যান টেলর।

ইনিংসের ৫২তম ওভারে বাংলাদেশের ১৩০ রানের লিড ছাড়িয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। এর পরপরই তাদের ওপর দিয়ে বয়ে যায় এবাদত ঝড়। প্রথম ইনিংসে ৫২ রান করা ইয়ং দ্বিতীয় ইনিংসে এগোচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। ।

এবাদতের এই দুই ওভারের আগুনে ২ উইকেটে ১৩৬ রান থেকে ৫ উইকেটে ১৩৬ রানের দলে পরিণত হয় নিউজিল্যান্ড। তবে এরপর আর বিপদ ঘটতে দেননি রস টেলর ও রাচিন রবীন্দ্র। দিন শেষে টেলর ৩৭ ও রাচিন ৬ রানের অপরাজিত ছিলেন।

তবে ইনিংসের ২৫তম ওভারে আর হতাশ হতে হয়নি। এবাদতের করা সেই ওভারের দ্বিতীয় বলে কনওয়ের বিরুদ্ধে লেগ বিফোরের জোরালো আবেদন করে বাংলাদেশ।

প্যাডে আঘাত হানার পর গালি অঞ্চলের দিকে উড়ে যাওয়া বল সামনের দিকে ঝাঁপিয়ে তালুবন্দি করেন সাদমান। ফলে লেগ বিফোর না হলেও ক্যাচ আউট পেয়ে যায় বাংলাদেশ। ফলে দলীয় ৬৩ রানে ভাঙে দ্বিতীয় উইকেট জুটি।

দ্বিতীয় সেশনের বাকি সময়টা নির্বিঘ্নেই পার করেন ইয়ং ও রস টেলর। তৃতীয় সেশনেও বোলিংয়ে দাপট দেখায় বাংলাদেশ। ফিল্ডিং ও রিভিউ নেওয়ার ক্ষেত্রে দেখায় অপরিপক্কতা। ।

ইনিংসের ৫২তম ওভারে বাংলাদেশের ১৩০ রানের লিড ছাড়িয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। এর পরপরই তাদের ওপর দিয়ে বয়ে যায় এবাদত ঝড়। প্রথম ইনিংসে ৫২ রান করা ইয়ং দ্বিতীয় ইনিংসে এগোচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। ৫৪তম ওভারের দ্বিতীয় বলে তাকে সরাসরি বোল্ড করে সাজঘরে পাঠিয়ে দেন এবাদত। ইয়ংয়ের ১৭২ বলের ইনিংস থামে ৬৯ রানে।

কোটি দর্শকের প্রত্যাশা টাইগাররা ইতিহাস গড়বেনই। ইতিহাস গড়তে টাইগারদের দরকার ৪০ রান।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button