
মাত্র ১২৬ রানে অলআউট হওয়ার পর ইনিংস পরাজয় এড়াতেই করতে হতো আরও ৩৯৫ রান। লিটন দাস ব্যতীত আর কেউই বড় ইনিংস খেলতে না পারায় ইনিংস ব্যবধানে হেরেই শেষ হলো বাংলাদেশের নিউজিল্যান্ড সফর।
তবে প্রথম ম্যাচ জেতায় দুই ম্যাচ সিরিজটি শেষ হলো ১-১ ব্যবধানে। একইসঙ্গে চলতি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে মূল্যবান ১২ পয়েন্ট নিয়েই দেশে ফিরবে মুমিনুল হকের দল।
শৈল্পিক ব্যাটিংয়ে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে বাংলাদেশের ইনিংস পরাজয় এড়ানোর আশাও বাঁচিয়ে রেখেছিলেন লিটন।
নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১২৬ রানে অলআউট হয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছিল বাংলাদেশের। নিউজিল্যান্ডের করা ৫২১ রানের চেয়ে ৩৯৫ রানে পিছিয়ে থাকায় স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশকে ফলোঅন করায় স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিং শুরু করে বাংলাদেশ।
প্রথম ইনিংসের ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে টপঅর্ডার ব্যাটারদের প্রত্যেকেই ভালো শুরু করেন। তারা কেউই নিজেদের ইনিংসটা বড় করতে পারেননি। সাদমান ইসলাম ২৭, মোহাম্মদ নাইম শেখ ২৪ ও নাজমুল হোসেন শান্ত আউট হয়েছেন ২৯ রান করে।
রীতিমতো ওয়ানডে স্টাইলে খেলে ক্যারিয়ারের ১২তম টেস্ট ফিফটি তুলে নেন লিটন। মাত্র ৬৯ বলে ছয় চার ও এক ছয়ের মারে চলতি সিরিজে নিজের দ্বিতীয় ফিফটি পূরণ করেন লিটন। অপরপ্রান্তে সোহানও খেলতে থাকেন সাবলীলভাবে। তৃতীয় সেশনের প্রথম ১০ ওভারে ৭৬ রান যোগ করেন লিটন ও সোহান।
বিশেষ করে ট্রেন্ট বোল্টের করা ৬১তম ওভারের প্রথম তিন বলে হ্যাটট্রিক বাউন্ডারিসহ মোট চারটি চার মারেন লিটন। এর আগে কাইল জেমিসনের ওভারে হাঁকান চার ও ছয়। লিটন ও সোহানের জুটিতে মাত্র ৯৯ বলেই যোগ হয় ১০০ রান। কিন্তু এর পরপরই ড্যারেল মিচেলের বলে বড় শট খেলতে গিয়ে ব্যক্তিগত ৩৬ রানে আউট হন সোহান।
পরে চতুর্থ বলটি থার্ড ম্যানের দিকে ঠেকে দিয়েই দুই রান নিয়েই শতকের উদযাপন সারেন লিটন। মাইলফলকে পৌঁছতে তিনি খেলেন ১০৬ বল, যেখানে ছিল ১৪ চার ও একটি ছয়ের মার। এর আগে গত নভেম্বরে ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে ১১৪ রান করেছিলেন তিনি।
তবে ম্যাচের সবচেয়ে আইকনিক মুহূর্ত ছিল দশম উইকেট পতনের ঘটনা।