চীনা নাগরিকরা মার্কিন মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স-এর স্টারলিংক প্রকল্পের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে। তাদের অভিযোগের তীর যাচ্ছে প্রতিষ্ঠান প্রধান ইলন মাস্কের দিকে।
সম্প্রতি চীন অভিযোগ করেছে, ইলন মাস্কের স্টারলিঙ্ক কৃত্রিম উপগ্রহের সঙ্গে সংঘর্ষ থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে চীনের নিজস্ব মহাকাশ কেন্দ্র। সম্ভাব্য সংঘর্ষ এড়াতে চীনকে “চরম ব্যবস্থা” নিতে হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে রয়টার্স।
জাতিসংঘের মহাকাশ বিষয়ক কার্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক নথিতে চীন বলেছে, নিরাপত্তার কারণে চীন স্পেস স্টেশন সংঘর্ষ এড়াতে প্রতিরোধমূলক নিয়ন্ত্রণ কাজে লাগিয়েছে।
এর পরপরই চীনা নাগরিকরা অনলাইনে হাজির হন টেসলার শতকোটিপতি প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্কের ওপর তাদের তীব্র ক্ষোভ ঝাড়তে শুরু করে। চীনের অভিযোগ স্বাধীনভাবে যাচাই করা হয়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স। আর স্পেসএক্স তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।
গত সোমবার ‘চীনের টুইটার’ বলে পরিচিত ওয়েইবো মাইক্রোব্লগিং প্লাটফর্মে একজন ব্যবহারকারী বলেছেন, স্টারলিংকের উপগ্রহগুলো মহাকাশের আবর্জনার স্তূপ মাত্র, আর আরেকজন তাদের মার্কিন মহাকাশ যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
ধারণা করা হয়, প্রায় ৩০ হাজার উপগ্রহ এবং অন্যান্য ধ্বংসাবশেষ পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে। এর ফলে মহাকাশে সংঘর্ষের ঝুঁকি কমাতে বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন সরকারকে এ বিষয়ক তথ্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।
কেবল স্পেসএক্সই তার স্টারলিংক ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্কের জন্য প্রায় এক হাজার নয়শ’ স্যাটেলাইট মোতায়েন করেছে, ও আরও পরিকল্পনা করছে।