
ইসলামে নারীর মর্যাদা ( পূর্ব প্রকাশের পর)
শরীফ মুহাম্মদ আবদুল কাদিরের ইসলামে নারীর মর্যাদা একটি অসাধারণ বই । আশাকরি এই বইটি অনেকের, বিশেষ করে নারীদের ভালো লাগবে। লেখকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি তার অনুমতি নেওয়ার জন্য। পারিনি। তাই অনুমতি ছাড়াই পাঠকদের জন্য তুলে ধরলাম।
আমাদের পিতা মাতা সহ প্রমুখ উর্ধ্বতন পুরুষ এই পৃথিবী লাভ করিয়াছেন, বর্তমনে আমরা রাজত্ব করতেছি, আবার আমাদের পরবর্তিগনও বিরাট সম্ভাবনা লিইয়া দাপট করিতে আসিতেছে । কিন্তু একবারও কি কেউ ভাবে যে, এই অভুরন্ত নেয়ামত ভান্ডার – দুনিয়ার প্রবেশ দ্বার কোনটি?- নারীই এই দুনিয়ার প্রবেশের দ্বার প্রান্তর । নারী-দ্বার পার হইয়াই দুনিয়ায় আসিতে হয় ।তাই নারী বিশ্ব মানবের মর্যাদার পাত্র ।
নারী দ্বারা হইয়া মানুষ দুনিয়ায় আসিয়াছে. অসহায় শিশু ওঁয়া ওঁয়া –আ করিয়া কাঁদিয়ছে। মাতৃরুপী নারীর হাতের ও বুকের ছোঁয়া পাইয়া সদ্য প্রসূত শিশুর কান্না থামিয়া গিয়াছে। তাহার অঙ্গুলী- ঝরা স্নেহ ত্রবং বক্ষ -ঝরা ক্ষীর দ্বারা শিশু- মানবের জীবন বাঁচিয়াছে ,সে বড় হইয়াছে। মানুষ কি নারীর মর্যাদা অস্বিকার করিতে পারে?
শিশু ত্রকটু বড় হইয়াছে, হামাগুরি দিয়া চলিতে আরম্ভ করিয়াছে, সময় সময় পঁচা- বাসি নাপাক –গলীজ বিষাক্ত দ্রব্য খাওয়ার জন্য হাত বারাইয়াছে – নারী তাহার স্নেহের থাবায় শিশুকে বারন করে- ফিরায়। শিশু অগ্নি বা জ্বরন্ত অঙ্গার মুখে পুরিয়া তৃপ্তি লাভ করতে চায়- নারী তাহাকে সাপটিয়া ফিরাইয়া রাখে।
শিশু কুয়ার পানিতে নিজের ন্যয় আর ত্রকটি শিশু দেখিয়া তাহার সহিত খেলার জন্য ঝাঁপাইয়া পরিতে উদ্যত-এমন সময় নারী আসিয়াই তাহাকে মৃত্যুর হাত থেকে বাচাঁয় । তাই মানব সমাজে নারীর বড় মর্যাদা ।
মাঠের রৌদ্রে উত্তপ্ত হইয়া, কারখানায় হাড়ভাঙা খাটুনি খাটিয়া কিম্বা অফিসের ধকল সামলাইয়া শ্রান্ত দেহে, নিরস মনে বাড়ি ফিরিতেই নারী হাসিমুখে সাদর সম্ভাষন, খাদ্য পানীয় দান ও ব্যজনি বাজন দ্বারা পুরুষের দেহ মনের শ্রান্তি দূর করিয়া এক নতুন উদ্যমের সন্চার করিয়া দেয় । তাই নারীকে মর্যাদা দান করা অপরিহার্য ।
নারীর উপলক্ষেই কবির কবিতা ফুটিয়াছে, গায়কের কন্ঠে গুন্জন উঠিয়াছে, সাহিত্যিকের সাহিত্য পুষ্ট হইয়াছে, এমন কি সূফীর সাধনা পূর্ন হইয়াছে । কে নারীকে অবগ্গা করিবে? নারীর মর্যাদা সর্বত্র।