
ঈশ্বরদী ইপিজেডের চারতলা থেকে লাফিয়ে এসএম খাইরুল আজম নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার দুপুর ১২.৪০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত খাইরুল আজম কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর থানাধীন মির্জানগর এলাকার মো. আজিম-উদ-দৌলার ছেলে। সে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগ হতে স্নাতকোত্তর পাস করে করে গত দেড় মাস যাবৎ ঈশ্বরদী ইপিজেডের রেনেসা বারিদ্র লিমিটেড এর ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে কাজ করছেন।
খাইরুল আজমের বাবা ঢাকা নিউজ হাবকে জানান, প্রতিদিনের ন্যায় আজকেও আমার ছেলে সকাল ০৬.৪৫ মিনিটে সময় বাড়ি হতে তাহার কর্মস্থল ঈশ্বরদী ইপিজেডের রেনেসা বারিন্দ্র লিমিটেড উদ্দেশ্যে রওনা হয়। কর্মস্থলে যথাসময়ে উপস্থিত হয়ে ডিউটি করার এক পর্যায়ে দুপুর ১২.৪৫ মিনিটে অফিস থেকে একটি মোবাইল ফোনে আমাকে জানান যে, আমার ছেলে এস এম খাইরুল আজম তার কর্মরত ভবনের চতুর্থ তলা থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে।
খবর পেয়ে আমি তাৎক্ষনিকভাবে আমার পরিবারের লোকজনসহ ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে দেখি আমার ছেলের মৃতদেহ স্ব্যাস্থ কমপ্লেক্সের বারান্দায় পড়ে রয়েছে। তিনি তার ছেলে চতুর্থ তলা বিল্ডিং হইতে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলেও জানান।
রেনেসা বারিন্দ্র লিমিটেড এর অ্যাডমিন ম্যানেজার অমিত কুমার কুন্ডু জানান, আমি দুপুরে একটি ছেলে পড়ে গেছে মর্মে খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। সেখানে গিয়ে দেখি আহত অবস্থায় খাইরুলকে আমাদের নিজস্ব স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার জন্য নিয়েছে। সেখানে তার অবস্থা গুরুতর দেখে সেখানকার কর্তব্যরত নার্স তাকে দ্রুত ঈশ্বরদী সদর হাসপাতালে পাঠান। আমরা তাকে দ্রুত ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
রুপপু পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ঈশ্বরদী ইপিজেডের রেনেসা বারিদ্র লিমিটেড এ একটি ছেলের মৃত্যু হয়েছে জানতে পেরে আমি এবং ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ অরবিন্দ সরকার সেখানে উপস্থিত হই।
ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত হতে সেখানেকার স্থাপিত ক্যামেরা ফুটেজে দেখতে পাই, সকাল ১১.৪৮ মিনিটের সময় নিহত খাইরুলের মোবাইল ফোনে একটি কল আসে এবং সে কথা বলেন। কথা শেষ করার পর থেকে তার স্বাভাবিক চলাচলে ছন্দ পতন দেখা যায়। এরপর দুপুর ১২.১৭ মিনিটের দিকে সে তার কক্ষ ছেড়ে সিঁড়ি বেয়ে একই ভবনের ৪ তলায় উঠেন। সেখানকার রেলিং ডিঙ্গিয়ে ১২.২০ মিনিটে খাইরুল নিচে লাফ দেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা গোপন সূত্রে জানতে পেরেছি, খাইরুলের প্রেমিকার আজ গায়ে হলুদ। সে হয়তো সেই শোক সহ্য করতে না পেরেই আত্মহত্যা করেছে।