
ঈশ্বরদী মহিলা কলেজের আসবাপত্র তৈরীর জন্য ৩ টি মেহগনি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এতে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন কলেজের অধ্যক্ষসহ কয়েকজন শিক্ষক।
শনিবার সকালে ঈশ্বরদী মহিলা ডিগ্রী ও অনার্স কলেজ ক্যান্টিনের সবুজ চত্তর থেকে গাছগুলো কেটে ফেলা হয়।
শনিবার দুপুরে সরেজমিনে কলেজ চত্তরে দেখা যায়, কলেজ ক্যান্টিনের সবুজ চত্তরের ৩টি মাঝারি আকারের মেহেগনি গাছ কাটছেন মিস্ত্রিরা। মিস্ত্রীদের গাছ কাটার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তারা জানান, কেনো গাছ কাটা হচ্ছে আমরা জানি না। কলেজের অধ্যক্ষ গাছগুলো কাটার জন্য আমাদের চুক্তি দিয়েছেন। আমরা কেটে দিচ্ছি। তবে শুনেছি গাছগুলো দিয়ে কলেজের আলমারিসহ কিছু জিনিস বানানো হবে।
এই সময় কলেজের অধ্যক্ষ হামিদুর রহমানকে কলেজ চত্তরে না পেয়ে তার মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কলেজের জন্য কিছু ফার্নিচার বানাতে হবে। এইজন্য গাছগুলো কাটা হচ্ছে। গাছগুলো কাটার জন্য শিক্ষা অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ সেলিম জানান, ঈশ্বরদী মহিলা কলেজের গাছ কাটার বিষয়ে আমাকে কিছুই জানানো হয়নি। কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ইউএনও। আপনি তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
গাছকাটার বিষয়ে জানতে ঈশ্বরদী মহিলা কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পিএম ইমরুল কায়েস মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কোন তথ্য জানতে বা নিতে হলে অফিসে আসতে হবে।