উত্তাল শাবিপ্রবি, ক্যাম্পাস ছাড়বে না শিক্ষার্থীরা
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে ( শাবিপ্রবি )শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পাস।
ক্যাম্পাস ও আবাসিক হল বন্ধের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার পাশাপাশি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ দাবি করেছেন শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়া ক্যাম্পাস না ছাড়তে অনড় রয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
সোমবারসকাল ৯টার পর ক্যাম্পাসে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের পাঁচটি আবাসিক হল থেকে মিছিল সহকারে ক্যাম্পাসের গোল চত্বরে অবস্থান নিয়ে দফায় দফায় বিক্ষোভ করছেন তারা।
অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সাজোয়া যানসহ ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
গতকাল রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে শাহপরান হল ও সৈয়দ মুজতবা আলী হল থেকেও শিক্ষার্থীরা মিছিল সহকারে তাদের সঙ্গে যোগ দেন। পরে তারা হল থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের দিকে চলে যান।
এছাড়া ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে প্রধান ফটকে সন্ধ্যা ৭টা থেকে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন।
এর আগে দুপুরে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে অবরুদ্ধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। পরে সন্ধ্যায় তাকে উদ্ধার করতে হলে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
রোববার বিকেল তিনটার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি ভবনে অবরুদ্ধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। পরে সন্ধ্যায় তাকে উদ্ধার করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচ পুলিশ সদস্য, ১০ শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী, ১৫ জন শিক্ষার্থীসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন।
তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ২৭টি রাবার বুলেট ও ২১টি সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ার পাশাপাশি লাঠিপেটা করে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে উপাচার্যকে মুক্ত করে তার বাসভবনে নিয়ে আসে।
শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার ঘটনার বিচার ও উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে অবস্থান নেওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় থাকবেন বলে জানিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হল প্রভোস্ট বডির পদত্যাগসহ তিন দফা দাবি ও অবস্থান কর্মসূচিতে হামলার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত। রোববার চতুর্থ দিনের মতো আন্দোলন করছিলেন শিক্ষার্থীরা। তবে বিকেলের পর থেকে উত্তপ্ত হয়ে পড়ে ক্যাম্পাস।