স্বাস্থ্য

ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ভ্যাক্সিন দিবে সরকার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ঢাকা হাব প্রতিবেদক

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘স্কুল পর্যায়ে সহ বস্তিতে গিয়ে ভ্যাক্সিন দিয়েছি। আগামী মাস থেকে প্রতি মাসে আমরা অন্তত ৪ কোটি ডোজ ভ্যাক্সিন দেবার কাজ শুরু করছি। এর জন্য আগামী মাস থেকেই আমরা দেশের প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ভ্যাক্সিন দেবার উদ্যোগ নিচ্ছি। এতে করে আশা করা যায়, আগামী মে-জুনের মধ্যেই আমাদের লক্ষ্যমাত্রা পুরণে সক্ষম হবো।’

দুপুরে রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে বিডিসিএল কর্তৃক আয়োজিত বিডিসিএল এর বার্ষিক জেনারেল মিটিং অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যেই ৩১ কোটি ডোজ ভ্যাক্সিন জোগানের ব্যাবস্থা করেছি। এখান থেকে প্রতি মাসেই প্রয়োজনীয় পরিমানে ভ্যাক্সিন আমাদের হাতে চলে আসছে। এর মধ্যেই ৭ কোটি প্রথম ডোজ, ৫ কোটি ডাবল ডোজ সহ মোট ১২ কোটি ডোজ ভ্যাক্সিন দেয়া সম্ভব হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য পুরণ করতে বুস্টার ডোজ সহ মোট ২৮ কোটি ডোজ ভ্যাক্সিন প্রয়োজন হবে। সেক্ষেত্রে সরকারের ৩১ কোটি ডোজ ভ্যাক্সিন হাতে পাওয়ার সংস্থান করা গেছে। কাজেই বুস্টার ডোজ সহ আমাদের লক্ষ্যমাত্রা পুরণে ২৮ কোটি ডোজ ভ্যাক্সিন লাগলেও আমাদের আরো ৩ কোটি ডোজ হাতেই থাকবে।

দেশে বিডিসিএল এর উৎপাদন চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। দেশের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে নানারকম ওষুধের উৎপাদনের চাহিদাও পাচ্ছে বিডিসিএল। কিন্তু সে তুলনায় বিডিসিএল স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। অবকাঠামো দুর্বলতা, যন্ত্রপাতির ঘাটতি, ফ্যাক্টরির জায়গা স্বল্পতাসহ এখানে নানারকম সমস্যা রয়েছে। এজন্য বিডিসিএল এর জন্য একটি অত্যাধুনিক মানের কারখানা নির্মার বিল এখন একনেকে রয়েছে। এটি দ্রুতই সম্পন্ন হয়ে যাবে। এসব উদ্যোগ সম্পন্ন করার পর বিডিসিএল আরো বেশি শক্তিশালী হবে বলে সভায় জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী তার বক্তব্যে আরো জানান, বাংলাদেশ করোনা মোকাবিলায় বিশ্ববাসীর প্রশংসা পেয়েছে। সাউথইস্ট এশিয়াতে করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশ ১ম হয়েছে। ব্লুমবার্গ প্রশংসা করেছে। ১২০টি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন করা হয়েছে। ফিল্ড হাসপাতাল করা হয়েছে। হাসপাতাল বেড বাড়ানো হয়েছে। দেশে করোনার সময় কোথাও ওষুধ বা অক্সিজেন সংকট দেখা দেয়নি। সঠিক চিকিৎসা গাইডলাইন ছিল বলেই করোনা এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সামনে ওমিক্রনে আবার চাপ বাড়তে পারে। সেক্ষেত্রে শুধু ভ্যাকসিন ওমিক্রন ঠেকাবে না। আমাদের স্বাস্থ্যবিধি যথার্থ নিয়মে মানতে হবে। তাহলেই ওমিক্রন ছড়াবে না বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। ওমিক্রন মোকাবিলায় সবাইকে মুখে মাস্ক পড়ারও আহ্বান জানান জাহিদ মালেক।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button