
আমি এক কপালিকে চিনি,
জন্ম স্বাধীনতা যুদ্ধের বছর দুয়েক আগে,
যুদ্ধের সময় হারায় মাকে,
স্বাধীনতা পাঁচ বছর পরে হারায় জন্মদাতা পিতাকে,
কপালির কপাল ভালো বলে।
বড় দুই ভাই বিয়ে করে চলে যায় শ্বশুরবাড়ি
একমাত্র বোনটিও বিয়ে করে যায় স্বামী বাড়ি,
বিয়ে হয় কপালির ১৮ বছর বয়সে ৬০ বছরের যুবকের সাথে।
সাথে পায় বাবার রেখে যাওয়া দুই শতকের আলিশান বাড়ি।
কপালির কপাল ভালো বলে।
সারাদিন গতর খেটে স্বামী নিয়ে সুখে সংসার করে
নাম তার কপালি বলে।
সংসার চলছিল ভাল বাচ্চাকাচ্চা নাই,
পাঁচ বছর যেতে না যেতেই স্বামীকে হারায়
কপালি কপাল ভালো বলে।
মামাতো বোনের রেখে যাওয়া মেয়েটি এখন কপালির মেয়ে।
সুখে-দুঃখে মেয়ে নিয়ে কপালির জীবন কাটে।
মেয়েটি এখন ১৮ বছরের তরুণী
এদিক ওদিক ঘুরে বেড়ায় সুন্দর তার চাহনি।
কপালি কপাল ভালো বলে।
গ্রামের এক মাস্তানের দৃষ্টি মেয়েটির উপর পড়ে
একরাতে মাস্তান তার সর্বনাশটি করে।
কপালি মেয়েটিকে নিয়ে সঠিক বিচার চায়।
কপালি ভুলে যায়, বিচার কিভাবে চলে
কপালির কপাল ভালো বলে।
বিচারের নামে বদনাম রটে মেয়েটির নামে
মেয়েটি এখন ঘরের বাহিরে যেতে পারেনা
মাস্তানের সাঙ্গোপাঙ্গ তার পিছু ছাড়ে না।
মেয়েটির তাই আত্মহত্যা করে।
কাঁদিতেছে কপালি