কবি কবিতা কবি
বিপ্লবী মহাবিপ্লবী
ক্ষুদে বিপ্লবী
গুণময় কবি তিনি। তারুণ্যে রক্ত চাই বলে কবিতার ধ্বজা উড়িয়ে যাত্রা শুরু। প্রেম যৌনতা বিপ্লব একাকার। খরখরে চৈত্রেও ভালোবাসায় সিক্ত। শেষে রবীন্দ্রনাথে ব্যর্থ অনুকৃতি।
প্রেমিক, কিংবা বিপ্লবী, অথবা কিছুই নন, কবি সদ্য- কিশোরীর প্রেমে পড়ে বিবাহবন্ধনে আকৃষ্ট হয়ে কিছুকাল মফস্বলে বাস করেন।
তখন সামরিক শাসনকাল। বুদ্ধিজীবীদের অধিকাংশই এমন শাসনের বিপক্ষে। কবিও। এরমধ্যেও চলছে একাডেমিক পুরস্কারের দেয়া নেয়া। কবিই চায়ের কাপে প্রবল তুফান তুলে বলেন, এ শাসনে এমন পুরস্কার পরিত্যাজ্য।
বিপ্লবের মন্ত্রে এমন বাণী আসতেই পারে। অথবা নিজে পুরস্কৃত হওয়ার সুপ্ত আর্তিও হতে পারে। কেইবা বোঝে কবির মন।
পরের বারই পুরস্কারে ঘোষিত হলো কবির নাম। সবাই ধারণা করল, এ পুরস্কার প্রত্যাখ্যাত হবে।
বিজয়ীর শির সবসময় সমুন্নত। কবির সুস্পষ্ট বক্তব্য: পুরস্কার কমিটিতে যাঁরা ছিলেন তাঁরা সবাই সম্মানিত। পুরস্কার না নিলে তাঁদেরকে অসম্মান করা হবে।
আর পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করে ক্ষুদে বিপ্লবীপনাও দেখাতে চাইনা।
বিপীণ পার্কের সামনে কেষ্টদার চায়ের দোকানের চা বোধহয় সেদিন ঠান্ডা মেরে গিয়েছিল। ব্রহ্মপুত্রের জলও সব ধুয়েমুছে নিয়ে গিয়েছে।