Exclusive 2আন্তর্জাতিক

করোনাকালে শীর্ষ ১০ ধনীর সম্পদ দ্বিগুণ হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

করোনা মহামারিতে অনেক মানুষ দরিদ্র হলেও বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনীর সম্পদ বেড়েছে দ্বিগুণ। আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা অক্সফামের বরাত দিয়ে সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

করোনা মহামারি মোকাবিলায় ধনীদের সম্পদের ওপর কর আরোপের অনুরোধও জানায় সংস্থাটি। সংস্থাটি বলছে, করোনা মহামারিকালে বিশ্ব ব্যাংকের তথ্যে উঠে এসেছে, বিশ্বের ১৬৩ মিলিয়ন অর্থাৎ ১৬ কোটি ৩০ লাখের বেশি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে গেছে, যেখানে ধনীরা আরও ফুলেফেঁপে উঠেছেন দেশগুলোর সরকারের সহায়তা পেয়ে।

অক্সফামের প্রজেক্টের তথ্য বলছে, ২০৩০ সালে ৩ দশমিক ৩ বিলিয়ন অর্থাৎ ৩৩০ কোটি মানুষ দৈনিক ৫ দশমিক ৫০ ডলারের কম আয় করবে।

দাতা সংস্থাটি বলছে, বিশ্বের ৯৯ শতাংশ মানুষের আয় ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের অক্টোবর পর্যন্ত কমে গিয়েছিল।ইলেক্ট্রিক কার নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্কসহ বিশ্বের আরও নয়জন বিলিয়নিয়ারের দৈনিক আয় বেড়েছে এক দশমিক ৩ বিলিয়ন অর্থাৎ ১৩০ কোটি মার্কিন ডলার।

ফোর্বস ম্যাগাজিনের এ বছরের ধনীর তালিকার হিসাবে দেখা গেছে, প্রথম ১০ ধনী ব্যক্তির প্রত্যেকের সম্পত্তির পরিমাণ ১০ হাজার কোটি ডলারের বেশি। তাদের মধ্যে টেসলার মালিক এলন মাস্কের সম্পত্তির পরিমাণই ২৯৪ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ২৯ হাজার ৪০ কোটি মার্কিন ডলার।

অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসকে ছাড়িয়ে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হন ইলন মাস্ক। এ সময়ের মধ্যে বেজোসের মোট সম্পদ ৬৭ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২০৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গের সম্পদ দ্বিগুণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ১১৮ বিলিয়ন ডলার, মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের সম্পদ ৩১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৭ বিলিয়ন ডলার।

সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক বৈঠকের আগে অক্সফাম সাধারণত এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করে। চলতি বছরও সেটি স্থগিত করা হয়েছে মহামারির কারণে। ফলে বিশ্বের শীর্ষ ধনী এবং ক্ষমতাবান ব্যক্তিরা উপস্থিত হতে পারছেন না এবারও।

অক্সফামের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, বিলিয়নিয়ারদের যখন বিস্ফোরণ ঘটছে, তখন বহু মানুষও দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যাচ্ছে। ফলে অর্থনীতির ভিত্তি নড়বড়ে হয়ে যাচ্ছে। এটি একটি দুঃখজনক ব্যাপার যে, খাদ্য ও স্বাস্থ্যের প্রয়োজনীয় উপাদানের অভাবে প্রতিনিয়ত বহু মানুষ মারা যাচ্ছে।

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button