দেশে করোনায় সংক্রমিত ও মৃত্যু দুটোই বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রতিদিন মৃত্যু হিসেবে গত এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। সবশেষ গত ২৫ নভেম্বর একদিনে নয় জনের মৃত্যু হয়েছিল। নতুন সাত মৃত্যু নিয়ে ভাইরাসটিতে মোট মৃত্যু বেড়ে ২৮ হাজার ৭০ জনে দাঁড়িয়েছে।
এ সময়ে নতুন করে ৫০৯ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। প্রতিদিন শনাক্ত হিসেবে যা গত ১১ সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ। সবশেষ গত ১৩ অক্টোবর ৫১১ জন আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। এরপর থেকে প্রতিদিন সংক্রমণ ৫০০ জনের নিচেই ছিল। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত করোনায় মোট সংক্রমণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৮৫ হাজার ২৭ জনে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।এতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৩৯৫ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হলেন ১৫ লাখ ৪৮ হাজার ৮১১ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়েছে, মারা যাওয়া সাতজনের মধ্যে পুরুষ চারজন ও নারী তিনজন। এ পর্যন্ত করোনায় পুরুষ ১৭ হাজার ৯৫৬ জন ও নারী মারা গেছেন ১০ হাজার ১১৪ জন।
২৪ ঘণ্টায় যে সাতজন মারা গেছেন তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে পাঁচজন । চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিভাগে রয়েছেন একজন করে।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মারা যাওয়া সাত জনের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব বয়সী চারজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে দুজন ও একজনের বয়স ৫০ বছরের নিচে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ১৫২টি আরটি-পিসিআর, ৫৭টি জিন-এক্সপার্ট এবং ৬৪৩টি র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট ল্যাবসহ মোট ৮৫২টি ল্যাবে ২২ হাজার ৬৬৮টি নমুনা সংগ্রহের বিপরীতে পরীক্ষা হয়েছে ২২ হাজার ৬৬৭টি। মহামারির শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১ কোটি ১৪ লাখ ৭২ হাজার ৮১৫টি।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২ দশমিক ২৫ শতাংশ। মোট পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৮২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৭২ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
জুলাই পর্যন্ত ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের তাণ্ডবে আক্রান্ত ও প্রাণহানি বেড়ে যায়।