করোনার দৈনিক সংক্রমণে আবারো রেকর্ড ভাঙল ফ্রান্স। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ২ লাখ ৬ হাজার ২৪৩ জন।
বছর শেষের উৎসব প্রায় ম্লান ফ্রান্সে। দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, আগামী আরও তিন সপ্তাহ সব নাইটক্লাব বন্ধ থাকবে।
ছয় ডিসেম্বর থেকেই ১৬০০ ক্লাব বন্ধ রয়েছে। উৎসবের এই সময়ে প্রচুর লোক ঘুরতে-বেড়াতে যান। তাতে সংক্রমণ বাড়তে পারে আশঙ্কা করেই কড়াকড়ি শুরু করেছিল প্রশাসন। শেষ রক্ষা হল না তাতেও। গত একদিনে ২ লাখ ছাড়ালো সংক্রমণ।
গত শনিবার প্রথম করোনা সংক্রমণ লাখ ছাড়িয়েছিল ফ্রান্সে। কয়েকদিনের মাথায় সংক্রমণ দ্বিগুণেরও বেশি। ফ্রান্সের পর্যটনমন্ত্রী বলেন, ব্যবসায়ী এবং পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের আর্থিক সঙ্কটের বিষয়টি বুঝতে পারছি। উপায় নেই। সরকারের পক্ষ থেকে সাহায্য করা হবে।
বর্তমানে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি টিকাদানের হার ফ্রান্সে। টিকা নেওয়ার যোগ্য জনসংখ্যার ৯০ শতাংশের ভ্যাকসিন নেওয়া হয়ে গিছে। তারপরেও এই অবস্থা।
ভ্যাকসিন পাস নিয়ে পার্লামেন্টে আলোচনা চলছে। আলোচনা সফল হলে রেস্তরাঁ, সিনেমা হল, জাদুঘর বা কোনও প্রদর্শনীতে ঢুকতে হলে ভ্যাকসিন পাস থাকা বাধ্যতামূলক করা হবে এবং সেই জন্য আইন করবে সরকার।
চীন কড়াকড়ির শীর্ষে। করোনা শূন্যনীতি থেকে সরতে অনড় তারা। চীনের শিয়ান শহরে দৈনিক সংক্রমণ দেড়শো হতেই গৃহবন্দি করা হয়েছে বাসিন্দাদের। এখনও পর্যন্ত কোনও ওমিক্রন আক্রান্ত ধরা পড়েনি।
এক সপ্তাহ ধরে শিয়ানে লকডাউন চলছে। ১ কোটি ৩০ লাখ বাসিন্দার বাড়ি থেকে বেরোনো নিষেধ। লকডাউন ভেঙে রাস্তায় বেরোলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
জাপানে সংক্রমণ তেমন না বাড়লেও নতুন করে করোনা-আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। বর্ষবরণের আনন্দ করতে অসংখ্য পর্যটকের ঢল নেমেছে বিমানবন্দর ও সড়ক পথে। চিন্তায় প্রশাসন।
বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে জাপানজুড়ে। পর্যটকদের পরীক্ষা করিয়ে নিতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
ফ্রান্সে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে ১ লাখ ২২ হাজার ৫৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখন পর্যন্ত দেশটিতে টিকার পূর্ণ ডোজ নিয়েছেন ৭৬ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ।
ফ্রান্সের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ সুপারিশ করেছে, প্রাপ্তবয়স্করা যেন প্রাথমিক পর্বের টিকা নেওয়ার তিন মাস পর বুস্টার ডোজ নেন। দেশটির সরকার এখন শুধু বুস্টার ডোজ সম্পন্নকারীদেরই হেলথ পাস দিচ্ছে।