
বিশিষ্ট কবি ও সাবেক সংসদ সদস্য কাজী রোজীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কাজী রোজীর মৃত্যুতে রোববার পৃথক বার্তায় তারা এ শোক প্রকাশ করেন। তারা মরহুমার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, কাজী রোজী তার লেখনির মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশে কাজ করে গেছেন। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার প্রক্রিয়ায়ও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
পৃথক শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কবিতার পাশাপাশি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে তার সাহসী ভূমিকা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
করোনাসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি। গতকাল শনিবার রাত ২টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি ও রাজনীতিবিদ কাজী।
গত ৩০ জানুয়ারি কবি কাজী রোজী শারীরিক অবস্থা খাপার হলে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।
কবি কাজী রোজী ১৯৪৯ সালের ১ জানুয়ারি সাতক্ষীরায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। ২০০৭ সালে তথ্য অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা হিসেবে অবসর নেন। পরে রাজনীতিতে আসেন। ২০১৪ দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সংরক্ষিত নারী আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
ষাটের দশকে কবিতা লেখা শুরু করেছিলেন কাজী রোজী। কবিতায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০১৮ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ও ২০২১ সালের বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত হয়েছেন।