জাতীয়

কোন কোন দেশ কেন অসন্তুষ্ট খুঁজে দেখছি:পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ঢাকা হাব প্রতিবেদক

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, কোনো কোনো দেশ বাংলাদেশের ওপর অসন্তুষ্ট। এই অসন্তুষ্টির কারণ খুঁজে তা দূর করার চেষ্টা চলছে। সোমবার (৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় তার দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে লেখা চিঠির জবাবের অপেক্ষায় রয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ।তিনি বলেন, আমরা সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক চাই। আমরা আমাদের বৈদেশিক সম্পর্কের মূলনীতি ‘কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়, সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব মেনেই কাজ করছি। আমরা সেই নিরপেক্ষ নীতি ধরে রাখতে চাই। আমরা সবার সঙ্গে আরও বেশি সম্পৃক্ত হতে চাই।

তিনি আরো বলেন, আমাদের বৈদেশিক সম্পর্কের মূলনীতি মেনেই আমরা কাজ করছি।
কিছু কিছু দেশ কী কারণে অসন্তুষ্ট, সেটি আমরা শোধরানোর চেষ্টা করব। তারা কোনো মিথ্যা তথ্যের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে থাকলে আমরা তাদের সত্য তথ্য দিয়ে বোঝাব। আশা করি, তারা আমাদের বুঝবে।

গত বছরের ১০ ডিসেম্বর মাকির্ন অর্থ ও পররাষ্ট্র দপ্তর র‌্যাব এবং পুলিশের বর্তমান আইজি বেনজির আহমেদসহ র‌্যাবের সাতজন বর্তমান ও সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তার ওপর মানবাধিকার বিষয়ক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার ঘোষণার পর দুই দেশের মধ্যে নানা পর্যায়ে যোগাযোগ শুরু হয়। বাংলাদেশ এই সিদ্ধান্তে বিচলিত হলেও বহুমাত্রিক সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে জোর দিচ্ছে। গত ১৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ফোন করেছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেনকে।

ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেনকে চিঠি পাঠিয়েছেন মোমেন। চিঠিতে র‍্যাব ও সংস্থাটির সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দেওয়া নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনার জন্য ব্লিঙ্কেনকে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র‍্যাব ও সংস্থাটির সাবেক-বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর গত বছরের ১০ ডিসেম্বর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে পৃথকভাবে এই নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট ও পররাষ্ট্র দপ্তর।

মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতি অনুসারে, নিষেধাজ্ঞার তালিকায় র‍্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ ছাড়াও রয়েছেন- র‍্যাবের বর্তমান মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক খান মোহাম্মদ আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক তোফায়েল মোস্তফা সরওয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. আনোয়ার লতিফ খান।

বেনজীর আহমেদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের নিষেধাজ্ঞার আওতায়ও পড়েছেন তিনি। এছাড়া পররাষ্ট্র দপ্তরের বিবৃতিতে র‍্যাব-৭ এর সাবেক অধিনায়ক (লেফটেন্যান্ট কর্নেল) মিফতাহ উদ্দীন আহমেদের নাম উল্লেখ করা হয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button