
জাপানি মায়ের মেয়েকে নিয়ে আবারো পালানোর চেষ্টা করে বর্থ হন। নাকানো এরিকো দ্বিতীয়বারের মতো তার বড় মেয়ে জেসমিন মালিকাকে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেছেন। আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিয়েছে।
মঙ্গলবার রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এ ঘটনা ঘটে।
বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশের উপ-পরিদর্শক পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা বলেন, ওই জাপানি মা তার বড় মেয়েকে নিয়ে বিদেশে যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরে আসেন। এ বিষয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাকে ইমিগ্রেশন থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
গত ২৩ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অমান্য করে দুই মেয়েকে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন জাপানি মা। তবে মেজ মেয়ে লাইলা বাবাকে হারাবে- এমন ভয় পেয়ে বাবার আশ্রয় নেন। এবার মেজ মেয়ে মায়ের সঙ্গে ছিলেন না।
২৯ জানুয়ারি বাংলাদেশি বাবা ও জাপানি মায়ের দুই শিশুকে মা নাকানো এরিকোর জিম্মার রাখার আদেশ দেন আদালত। ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক দুরদানা রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক উল্লেখ করেন, শারীরিক, মানসিক ও পারিপার্শ্বিক তথা বাচ্চাদের সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল কার কাছে নিশ্চিত হবে রায়ে সেটির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। দুই সন্তান বাবার কাছে থাকা মঙ্গল হবে বলে বাদী যে দাবি করেছেন, সেটি প্রমাণ করতে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন।
জাপানি চিকিৎসক নাকানো এরিকোর সঙ্গে বাংলাদেশি প্রকৌশলী ইমরান শরীফের বিয়ে হয় ২০০৮ সালে। দাম্পত্য কলহের জেরে ২০২০ সালের শুরুতে বিচ্ছেদের আবেদন করেন এরিকো।
এরপর ইমরান স্কুলপড়ুয়া বড় দুই মেয়েকে নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন। ছোট মেয়ে জাপানে এরিকোর সঙ্গে থেকে যান। মেয়েদের জিম্মা পেতে গত বছরের জুলাইয়ে বাংলাদেশে আসেন এই জাপানি নারী।