Exclusive 1জাতীয়

জীবনকে ছুঁয়ে দেখার নির্ভেজাল আত্মিক স্পন্দন ফাগুন

বোরহান মেহেদী, নরসিংদী

আজ পহেলা ফাল্গুন। জীবনকে ছুঁয়ে দেখার নির্ভেজাল আত্মিক স্পন্দন ফাগুন। পাখি ডাক আর ফুল ফুটার আকুলতা নিয়ে আমাদের দ্বারে বসন্তের আগমন ঘটেছে। বিশেষ করে শিমুল ও পলাশের ফুটন্ত পাঁপড়িতে কবি লিখে দিয়েছে কবিতার ছন্দ। মর্মে মর্মে জেগে উঠছে আনন্দ বার্তা। বাংলার আবাহন কালের যুবাদের ভালোবাসার মাস ফাল্গুন।

যৌবনের আত্মিক এক অনাবিল প্রেরণার উদ্ভাসিত বসন্ত সময়। টগবগ হৃদয়ে অশ্বারোহী প্রেমিক যেন ছুটছে দিকবিদিক। এই লালিত স্বপ্ন ও গৌরবে বার বার মনের আখরে দোলা দিয়ে ঘটে প্রতি বছর বসন্তের আবির্ভাব।

কবির ভাষায় বলতে গেলে শেষ আবেগটি- আমাদের ফুল ফুটুক আর না ফুটুক আজ বসন্ত ফাল্গুন। আহা কি আনন্দ প্রাণে। আহা কি জীবন জাগরণে খুলে গেছে চিত্ত আজ নব উল্লাসে। আজ বসন্ত এসেছে দ্বারে নব সাঁজে। তাইতো কবি আবু নাসের লিখছেন “আজকে আমার বদ্ধ দুয়ার খোলা, আয়রে আয় ওরে আত্মভোলা। নিয়ে আয় মুঠো ভরে বসন্তেরই হাওয়া, আজকে আমার হবে না আর বনের মাঝে যাওয়া।

জীবনকে ছুঁয়ে দেখার নির্ভেজাল আত্মিক স্পন্দন ফাগুন

আমার হারিয়ে যাওয়া দিন গুলি আজ, পড়েছে লাল আবিরের সাজ। দেখে মনে জাগছে উতল হাওয়া, আমার হবে না আর আজকে বনে যাওয়া। আজকে আমার গুল বাগিচায়, কইবো কথা ফুলের সনে। ফাগুন হাওয়ায় উড়িয়ে মন, গাইবো গান আজ তারই সনে। প্রেমের ধারায় ফিরবো না আর প্রেম আমার যে গেছে মরে, খুঁজছি আজকে মুখটি তার আবছা মনে পড়েছে যারে।

সারাদেশের মতো আজ নরসিংদী জেলার পলাশ ঘোড়াশাল রেল স্টেশন, নরসিংদীর বাউল আখড়া, সামসুদ্দিন পার্ক, আরশি নগর, ড্রিমলেন্ড হলিডে পার্ক, শিবপুর, বেলাবো লালটিলা ও মেঘনা পারে সকাল থেকে জমে উঠবে তরুন যুবাদের মিলনমেলা। এযে অপুর্ব এক জিবনের কলগানে মুখরিত প্রাণ উচ্ছাস। অন্তরের সকল দুঃখকে মুছে পবিত্রতার এক মেইল বন্দন। যা শুধুই জীবনকে ছুঁয়ে দেখার নির্ভেজাল আত্মিক স্পন্দন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button