
জ্যাকুলিনের সঙ্গে সুকেশের সম্পর্ক সত্যিই কি আছেজ্যাকুলিন ফার্নান্দেজের সঙ্গে বিতর্কিত ব্যবসায়ী সুকেশ চন্দ্রশেখরের সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন চলছে। এই দুজনের একটি ঘনিষ্ঠ ভিডিও সম্প্রতি ইউটিউবে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর গুঞ্জন ডালপালা আরও মেলতে শুরু করে।
ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরক্টেরেটকে জিজ্ঞাসাবাদে জ্যাকুলিন স্বীকার করেছেন তিনি সুকেশের কাছ থেকে দামি উপহার গ্রহণ করেছেন। এই ধনকুবেরের কাছ থেকে অভিজাত প্রসাধন সামগ্রী, বিদেশি বিড়াল ও ঘোড়াসহ কয়েক কোটি টাকার উপহার নেওয়ার অভিযোগে জ্যাকুলিনকে কয়েক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
বেশ কিছুদিন ধরেই ‘কিক’খ্যাত শ্রীলংকান সুন্দরী জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ ও ‘কুসু কুসু’খ্যাত নোরা ফাতেহি শিরোনামে আছেন। সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে বন্ধুত্বের জন্য আলোচনায় তারা৷
তবে শিরোনামে থাকাটা তাদের জন্য আনন্দের ছিল না। ২০০ কোটি রুপি মানি লন্ডারিং মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন তারা। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তাদের দুজনকে ডেকেছে বেশ কয়েকবার।
এমতাবস্থায় সুকেশের সঙ্গে জ্যাকুলিনের সত্যিকারের সম্পর্কটা কী?-সেটি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে তার ভক্তদের মনে। জ্যাকুলিন অবশ্য সুকেশের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে অস্বীকার করেছেন।
তবে সুকেশের দাবি, জ্যাকুলিনের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল। সুকেশের পক্ষ থেকে তার আইনজীবী শনিবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, জ্যাকুলিনের সঙ্গে তার সম্পর্ক রয়েছে। এ কারণেই তাকে দামি উপহার দিয়েছেন। তবে সুকেশের দাবি, জ্যাকুলিন নির্দোষ। প্রতারণা ও অর্থপাচার মামলায় তার কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা নেই।
ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে’স রিপোর্ট অনুসারে, ৩২ বছর বয়সী সুকেশ জেল থেকেই তার উকিলকে চিঠি লিখেছেন। যেখানে দাবি করেন তিনি বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিনের সাথে সম্পর্কে ছিলেন। যার কারণে তাকে কোটি টাকার উপহার দিয়েছেন। মামলার সাথে তার কোনো সম্পর্ক নেই।
চিঠিতে সুকেশ নিজেকে একজন ‘কর্পোরেট লবিস্ট’ দাবি করেছেন। যিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে অনেক কর্পোরেট হাউজের সাথে কাজ করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন রাজনৈতিক যোগসূত্রের কারণে তাকে বলির পাঠা বানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, এখনো পর্যন্ত একাধিকবার জ্যাকলিন ফার্নান্দেজকে আর্থিক তছরুপ মামলায় জেরা করা হয়েছে। চার্জশিটে নায়িকার যে বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে তাতে তিনি দাবি করেছেন, ‘২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে সুকেশের সঙ্গে আমার আলাপ, কথাবার্তা। ২০২১-এর আগস্টে ওকে গ্রেফতার করা হয়। তারপর থেকে আর কোনো যোগাযোগ হয়নি আমাদের। সুকেশ আমাকে বলেছিলেন, উনি সান টিভির মালিক ও জয়ললিতার পরিবারের সদস্য।