
বিশ্বের সেরা কিছু সোশ্যাল সাইটের মধ্য টুইটার হচ্ছে অন্যতম খুব জনপ্রিয় একটি সোশ্যাল সাইট। এবার ব্যবহারকারীরা জন্য টুইটারে টেক্সট লিখে টুইটের উত্তর দেওয়ার বদলে সরাসরি ছবি বা ভিডিওতে টুইটের কপি এমবেড করে দিতে পারবেন।
ব্যবহারকারীদের জন্য কোট টুইট উইথ রিঅ্যাকশন ফিচার যুক্ত করতে যাচ্ছে টুইটার কতৃপক্ষ। তবে আপাতত আইওএস প্ল্যাটফর্মে নতুন ফিচার নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে বলে জানিয়েছে টুইটার। টুইটারে ‘রিটুইট’ মেনুতে যোগ হয়েছে ‘কোট টুইট উইথ রিঅ্যাকশন’ বাটন।
ওই বাটনে ট্যাপ করলে ব্যবহারকারীকে নতুন একটি স্ক্রিনে নিয়ে যাবে টুইটার অ্যাপ। নতুন স্ক্রিনে ছবি বা ভিডিও’র মাধ্যমে টুইটের উত্তর দিতে পারবেন ব্যবহারকারী, স্ক্রিনের উপরেই থাকবে মূল টুইট। নতুন ফিচারের কার্যপ্রণালী নিজস্ব ঘোষণাতেই বুঝিয়ে দিয়েছে টুইটার।
নতুন ফিচারটির সঙ্গে টিকটকের ‘ভিডিও রিপ্লাই’ ফিচারের মিল রয়েছে, বলছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জ। ছবি ও ভিডিও শেয়ারের প্ল্যাটফর্ম ইনস্টাগ্রামও টিকটককে “নকল করে” সম্প্রতি নিজস্ব ‘রিলস’ ফিচার চালু করেছে বলে মন্তব্য করেছে সাইটটি।
টুইটারও টুইট শেয়ার করার নানা নতুন উপায় যোগ করেছে নিজস্ব প্ল্যাটফর্মে। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে স্ন্যাপচ্যাট মেসেজ বা স্টোরিতে টুইট এমবেড করার ফিচার যোগ করে মাইক্রোব্লগিং সেবাটি।
তবে ব্যবহারকারীরা নতুন ফিচারটি অনলাইন হয়রানিতে ব্যবহৃত হওয়ার আশঙ্কা করছেন বলে জানিয়েছে ভার্জ। কম্পিউটার অ্যালগরিদমের মাধ্যমে প্রথাগত টেক্সট টুইট স্ক্যান করা সহজ হলেও ফটো বা ভিডিওর ক্ষেত্রে একই প্রযুক্তির ব্যবহার একইরকম কার্যকর নয়।
অনলাইন হয়রানি বন্ধে টুইটার আরো যে ফিচারগুলো চালু করেছে, তার মধ্যে আছে ফটো ট্যাগিং এড়িয়ে যাওয়া এবং কে টুইটের উত্তর দিতে পারবেন সেটি ঠিক করে দেওয়ার ফিচার।
তবে ‘কোট টুইট উইথ রিঅ্যাকশন’ ফিচারটির বেলায় কে উত্তর দিতে পারবেন আর কে পারবেন না, ব্যবহারকারী সেটি নির্ধারণ করে দিতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন টুইটার মুখপাত্র ভিভিয়ানা ওয়েইওয়াল।
অনলাইন হয়রানিতে ফিচারটির ব্যবহার নিয়ে শঙ্কিত কি না, সেই প্রশ্নের উত্তরে ওয়েইওয়াল বলেন, “টুইটার ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যদিও ফিচারটির নেতিবাচক ব্যবহারের আশঙ্কা করছি না আমরা, পণ্যের ব্যবহারের উপর কাছ থেকে নজর রাখবো আমরা এবং এটা নিশ্চিত করবো (ফিচারটি) অপব্যবহারের ঘটনায় যেন টুইটারের নীতিমালা অনুযায়ী দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হয়।”