Exclusive 2ক্রিকেটখেলাধুলা

তামিমের সেঞ্চুরিতে ভেসে গেল সিমন্সের সেঞ্চুরি

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে সিলেট সানরাইজার্সের মুখোমুখি হয় ঢাকা প্লাটুন। এই দিন ম্যাচে শতকের দেখা পান ধাকার তামিম ইকবাল ও সিলেটের লেন্ডেল সিমন্স। তবে তামিমের সেঞ্চুরিতে ভেসে গেল সিমন্সের সেঞ্চুরি শেষে।

টসে হেরে ম্যাচে আগে ব্যাট করা সিলেট লেন্ডন সিমন্সের শতকের উপর ভর করে স্কোর বোর্ডে তোলে ১৭৫ রান। লক্ষ্য টপকাতে নেমে শুরু থেকে আগ্রাসী তামিম। টুর্নামেন্ট ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক মুশফিকুর রহিমকে টপকে সেরার মুকুট তুলেছেন মাথায়। তামিমের শতকের কল্যাণে সিলেটকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে ঢাকা।

এটি টুর্নামেন্টে ঢাকার দ্বিতীয় জয়। শুরু থেকেই আগ্রাসী ভাবে খেলতে থাকেন তামিম। তাসকিন আহমেদের করা প্রথম ওভার থেকে ৭ রান আসে ঢাকার। তামিম-শাহজাদ জুটিতে দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম ওভারে আসে ১২, ১৫, ১২, ১৫ রান করে। এতে পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ঢাকার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭৪ রান। ফিফটির দেখা পান তামিম। ২৮ বলে ফিফটি করলেন তিনি।

দলীয় ৯ ওভারে ওপেনিং পার্টনারশিপে ১০০ রান যোগ করেন দু’জন। তামিমের পর সিলেটের বোলারদের শাসন করে ফিফটি তুলে নেন শাহজাদ। ফিফটি ছুঁয়েছেন ৩৪ বলে।

নিজের ফিফটির পর তামিমের আরো বিধ্বংসী রূপের দেখা পায় সিলেট। পরে ৬১ বলে ছুঁয়েছেন তিন অঙ্ক। ১৬ চার ও ৩ ছয়ে নিজের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন এই বাঁহাতি ওপেনার।

পরে শাহজাদ ৩৯ বলে ৫৩ রান করে আউট হন আলাউদ্দিন বাবুর বলে। যেখানে ৭টি চারের সঙ্গে ছক্কা মারে ১টি। পরে জয়ের জন্য ৩ রান বাকি থাকলে সেই আনুষ্ঠানিকতা সারেন তামিম। ৬৪ বলে ১৭টি চার ও ৪টি ছয়ের সাহায্যে ১১১ রান তুলে অপরাজিত থাকেন তিনি। তামিমের সেঞ্চুরিতে ৯ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ঢাকা ১৮ বল বাকি থাক্তেই।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নামা সিলেট উদ্বোধনী জুটিতে ভালো শুরু পায়। এনামুল হক বিজয় আর সিমন্স গড়েন ৫০ রানের পার্টনারশিপ। পেসার এবাদত হোসেনকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বিজয় ১৬ বলে ১৮ রান করে আউট হলে ভাঙে এই জুটি।

মিঠুন ও কলিন ইনগ্রাম সুবিধা করতে পারেননি। মিঠুন ৮ বলে ৬ রান করে ফেরেন কাইস আহমেদের গুগলিতে পরাস্থ হয়ে। কলিন ইনগ্রামকে ফিরতি ক্যাচ নিয়ে রানের খাতা খুলতে দেননি মাশরাফি বিন মুর্তজা।

তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে দলের রানের চাকা সচল রাখেন সিমন্স। চতুর্থ উইকেটে রবি বোপারার সঙ্গে গড়েন ৬৩ রানের পার্টনারশিপ। এক ফাঁকে অর্ধশতক তুলে নেন সিমন্স। মাত্র ৩৪ বলে ফিফটি হাঁকান তিনি। তবে বোপারা সুবিধা করতে পারেননি। রান আউট হন ১৪ রান করে।

সিমন্স অর্ধশতক তুলে নেওয়ার পর পূর্ণ করেন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে নিজের দ্বিতীয় শতক। ৫৯ বলে সেঞ্চুরি পূরণ করেন তিনি। যা এবারের বিপিএলে কোন ব্যাটসম্যানের প্রথম শতক।

তিন অঙ্ক ছুঁয়ে সিমন্স যেন আরও বিধ্বংসী হয়ে উঠতে চেয়েছিলেন। ১৯তম ওভারে তামিম ইকবালের হাতে বন্দী হওয়ার আগে আন্দ্রে রাসেলকে হাঁকান টানা ২টি চার ও ১ ছক্কা। বিদায়ের আগে ৬৫ বলে ১১৬ রান করতে ১৪টি চার ও ৫টি ছক্কা মারেন।

এইবারের বিপিএলে দর্শকের জন্য সবচেয়ে রোমাঞ্চকর ম্যাচ ছিল এটি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button