
তুরস্ক-সিরিয়ায় ৩০ হাজারের কাছাকাছি নিহতের সংখ্যা। দুই দেশের সীমান্ত অঞ্চলে ভয়াবহ ভূমিকম্পের ৬ দিনের মাথায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩০ হাজারেরও মতো।
বিভিন্ন দেশ থেকে উদ্ধার কাজে যোগ দিয়েছে কয়েক হাজার সদস্য। এখনও প্রাণপণে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন তারা। কারও বেঁচে থাকার আশা ক্ষীণ। তারপরও হাল ছাড়তে নারাজ উদ্ধারকারীরা।
ধ্বংসস্তূপের এলাকাগুলোতে ভুক্তভোগীদের স্বজনরা অধীর অপেক্ষায় দিন পার করছেন। এখনও অলৌকিক ঘটনার আশা করছেন তারা।
তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতে জানিয়েছেন, শুধু তুরস্কেই নিহত হয়েছে ২৪ হাজার ৬০০ জন। দেশটির ১০টি প্রদেশের ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই ভয়াবহ দুর্যোগে। ৩২ হাজার ৭১টি টিম উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে। দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ জানায়, ভূমিকম্পে ৮০ হাজার ২৭৮ জন আহত হয়েছে। সূত্র: ব্লুমবার্গ
সিরিয়ান অবজারভেটরি হিউম্যান রাইটস বলছে, সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১৮৯ জনে। এখনও নিখোঁজ হাজার হাজার মানুষ।
ভূমিকম্পের ফলে চরম মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে দেশ দুটিতে। ত্রাণের জন্য হাহাকার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
সোমবার ভোরের দিকে যখন মানুষজন ঘুমিয়ে ছিলেন ঠিক তখনই আঘাত হানে এই ভূমিকম্পে। মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থাজানায়, স্থানীয় সময় ৪টা ১৭ মিনিটে প্রথম কম্পন অনুভূত হয়।
রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। কম্পনের উৎসস্থল ছিল তুরস্কের গাজিয়ানতেপ প্রদেশের পূর্ব দিকে নুরদাগি শহর থেকে ২৬ কিলোমিটার পূর্বে ভূগর্ভের প্রায় ২৪ দশমিক ১ কিলোমিটার গভীরে।