ছয় ফেব্রুয়ারির আগে ভোজ্যতেলের দাম বাড়বে না বলে জানিয়েছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তবে তার সেই কথা বাস্তবে প্রমানিত হলো না। মন্ত্রির কথা উপেক্ষা করেই ভোজ্যতেলের দাম ফের বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বাড়তি দামের তেলের বোতল ইতোমধ্যে বাজারে চলে এসেছে। বোতলের সয়াবিন তেলের পাশাপাশি বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে খোলা সয়াবিন তেল ও পাম অয়েল।
খুচরা ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, দুদিন ধরে তেলের দাম বাড়তি। বোতলের সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৫ থেকে ৮ টাকা বেড়েছে। খোলা সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ১০ টাকা পর্যন্ত। পাম অয়েলের দামও কেজিতে ১০ টাকার মতো বেড়েছে।
ব্যবসায়ীদের তথ্য অনুযায়ী, নতুন আসা বোতলের এক লিটার তেলের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬৫ থেকে ১৬৮ টাকা, যা আগে ছিল ১৬০ টাকা। আর পাঁচ লিটার বোতলের সয়াবিন তেলের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৮৫ থেকে ৮০০ টাকা, যা আগে ছিল ৭৬০ টাকা।
অন্যদিকে খোলা সয়াবিন তেলের কেজি এখন বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায়, যা আগে ছিল ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা। পাম অয়েলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা, তা আগে ছিল ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা।
ব্যবসায়ী মো. মিজানুর বলেন, ‘নতুন দামের সয়াবিন বাজারে চলে এসেছে। নতুন দামের বোতলের এক লিটার সয়াবিন তেল আগের থেকে ৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। গায়ের মূল্য ১৬৫ টাকা, আমরা বিক্রি করছি ১৬০ টাকা। আগে এ তেল ১৫৫ টাকা বিক্রি করেছি। একইভাবে পাঁচ লিটার বোতলের সয়াবিন তেলের দামও বেড়েছে।’
রামপুরায় ১৬০ টাকা কেজি খোলা সয়াবিন বিক্রি করা আলামিন বলেন, পাইকারিতে তেলের দাম অনেক বেড়ে গেছে। দুদিন ধরে বেশি দামে তেল কিনতে হচ্ছে। বাড়তি দামে কিনে আনার কারণে বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি।
ব্যবসায়ীরা ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়ে দিলেও গত ১৯ জানুয়ারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছিলেন, আগামী ১৫ দিনে ভোজ্যতেলের দাম বাড়বে না। ৬ ফেব্রুয়ারির পর সিদ্ধান্ত হবে তেলের দাম বাড়বে না কমবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতের বড় সুবিধা তাদের ডিউটি স্ট্রাকচার আমাদের চেয়ে কম। আমাদের যেখানে ১৮ থেকে ২০ শতাংশ, সেখানে তারা ৫ শতাংশ দেয়। এসব বিবেচনা করে আমাদের দেখতে হবে। এজন্য আমি ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করেছি, একটু সময় দিতে। আমরা আগামী ৬ তারিখ (ফেব্রুয়ারি), মানে ১৬ দিন পর বসে দাম বাড়ানোর প্রয়োজন হলে বাড়াবো। কমানোর প্রয়োজন হলে কমাবো। সবকিছু বিবেচনা করে যেটা সুবিধাজনক হয়, সেটি করা হবে।