Exclusive 1আইন-আদালত

দুর্নীতি যেই করুক ছাড় নয়: প্রধান বিচারপতি

আদালত প্রতিবেদক

দুর্নীতি যেই করুক  তাকে ছাড় নয়। দুর্নীতির বিষয়ে কোনো কম্প্রোমাইজ করবো না । দুর্নীতি একটি ক্যান্সার। । আজ রোববার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতিকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ও অ্যাটর্নি জেনারেলের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এমন মন্তব্য করেন।

বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, দুর্নীতি যেই করুক আমার কর্মকর্তা-কর্মচারী হলেও তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।তিনি বলেন, আঙুলে ক্যান্সার হলে যেমন কেটে ফেলতে হয়, দুর্নীতিও তেমনি কেটে ফেলতে হবে। এ সময় তিনি মামলাজট কমানো, বিচারবিভাগ থেকে দুর্নীতি দূর করা, বার ও বেঞ্চের মধ্যে সমন্বয়ে কাজ করার কথা বলেন।

শুক্রবার তিনি শপথগ্রহণ নেন।  এর আগে ২০১৩ সালের ২৮ মার্চ আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর বাড়ি কুষ্টিয়া জেলায়। তিনি জেলার খোকসা উপজেলার রমানাথপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম আব্দুল গফুর মোল্লা। ১৯৭২ সালে তিনি খোকসা জানিপুর পাইলট হাইস্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন। আইএসসি পাস করেন ১৯৭৪ সালে সাতক্ষীরার সরকারি পিসি কলেজ থেকে।

হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বিএ পাস করেন সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ থেকে। এমএ পাস করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে। এলএলবি পাস করেন ধানমন্ডি ল’ কলেজ থেকে।

১৯৮১ সালে হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ঢাকা জজ কোর্টে আইন পেশায় যোগ দেন। ১৯৮৩ সালে হাইকোর্ট বিভাগে এবং ১৯৯৮ সালে আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন।

হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ২০০১ সালে হাইকোর্টে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ থেকে বাদ দেয়া হয়। পরে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে ২০০৯ সালের ২৫ মার্চ হাইকোর্ট বিভাগে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ২০১৩ সালের মার্চ মাসে তিনি আপীল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ২০১৫ সালের ৩০ এপ্রিল তাকে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। সর্বশেষ গত বছরের ৩ মে জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান পদে পুনর্নিয়োগ পান তিনি।

দেশের ২১তম প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার পদত্যাগের পর ২২তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে ২০১৮ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি শপথ নেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। ৪৭ মাস প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন শেষে ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর অবসরে যান সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।

হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বার বার দুর্নীতির বিষয়ে কম্প্রোমাইজ না করার কথা বলেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button