
রাষ্ট্রপতি বলেন, তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে বেতার একটি শক্তিশালী গণমাধ্যম। একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, সবধরনের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ এবং স্বতন্ত্র বিষয়বস্তু মিডিয়া বৈচিত্র্যের অন্যতম অনুষঙ্গ। স্বাধীন গণমাধ্যম দেশ জাতির কল্যাণ ও মুক্তির আলোকবর্তিকা।
রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ব বেতার দিবস-২০২২ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রপতি মো: আব্দুল হামিদ।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ বেতারের উদ্যোগে বিশ্বের অন্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ১৩ ফেব্রুয়ারি ‘বিশ্ব বেতার দিবস ২০২২’ উদযাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ বেতারের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বেতারের শ্রোতামণ্ডলীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ বেতার দেশের সর্ববৃহৎ ও ঐতিহ্যবাহী গণমাধ্যম। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গর্বিত উত্তরসুরি বাংলাদেশ বেতার আজ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনমানুষের তথ্য, শিক্ষা ও বিনোদনের অন্যতম উৎস। দেশ জাতির কল্যান, যৌতুক ও বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ, নারী শিক্ষার প্রসার, ডিজিটাল বাংলাদেশসহ বিভিন্ন সামাজিক ইস্যুতে জনসচেতনতা সৃষ্টি, প্রাকৃতিক দুর্যোগকালীন বার্তা প্রচারেও বাংলাদেশ বেতারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে জনগণকে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে সরকারের সার্বিক উন্নয়ন কার্যক্রমকে বেগবান করতে বাংলাদেশ বেতার নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা করি। আমি ‘বিশ্ব বেতার দিবস-২০২২’ উপলক্ষে গৃহিত সব কর্মসূচির সফলতা কামনা করছি।