Top Newsজাতীয়

নারায়ণগঞ্জের গার্মেন্টসে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে

নারায়ণগঞ্জের মদনপুর এলাকায় অবস্থিত জাহিন টেক্সটাইল নামের একটি গার্মেন্টসে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে ফায়ার সার্ভিস আ্যন্ড সিভিল ডিফেন্স। টানা প্রায় পাঁচ ঘণ্টার চেষ্টায় ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) রাতে ফায়ার সার্ভিস আ্যন্ড সিভিল ডিফেন্সের মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহজাহান সিকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, বিকেল পৌনে ৪টার দিকে জাহিন গার্মেন্টসে আগুন লাগার সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস। এরপর প্রথম ইউনিটটি পৌঁছায় ১৫ মিনিটের মধ্যেই। এরপর একে একে বাড়ানো হয় ইউনিটের সংখ্যা। শেষ পর্যন্ত ১৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়।

রাত ৯টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। হতাহতের কোনো খবর আমরা পাইনি। আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও প্রাথমিকভাবে বলতে পারছি না। কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় রাতেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ব্রিফিং করেছেন ফায়ার সার্ভিস আ্যন্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন।

জানা যায়, শুক্রবার ছুটির দিন থাকায় জাহিন নিটওয়্যার নামে ওই কারখানার মূল অংশ বন্ধ ছিল খুব অল্প সংখ্যক শ্রমিক ছিলেন। এ কারখানায় প্রায় তিন হাজার শ্রমিক কাজ করেন। কিন্তু শুক্রবার বেশিরভাগ ইউনিট বন্ধ ছিল। তবে প্রতিটি ইউনিটে কিছু শ্রমিক তৈরি পোশাক প্যাকেট করে শিপমেন্টের জন্য ৬ নম্বর ইউনিটে সরানোর কাজ করছিলেন।

কারখানা শ্রমিক ইব্রাহীম জানান, বিকেল পৌনে চারটার দিকে আগুন লাগে। প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা কর্মীরা প্রথম বের হয়ে ২ নং ইউনিটের সামনে ‘আগুন আগুন’ বলে চিৎকার করতে থাকে। পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হলে তারা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ শুরু করেন।

আরেক শ্রমিক হৃদয় জানান, এ কারখানায় প্রায় তিন হাজার শ্রমিক কাজ করেন। কিন্তু শুক্রবার হওয়ায় বেশিরভাগ ইউনিট বন্ধ ছিলো। তবে প্রতিটি ইউনিটে কিছু শ্রমিক তৈরি পোশাক প্যাকেট করে শিপমেন্টের জন্য ৬নং ইউনিটে সরানোর কাজ করছিলো।

এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রচুর ধোঁয়া পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। ধোঁয়ার কারণে পাশের ঢাকা-চট্টগ্রামে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শ্রমিকরা ফ্যাক্টরির ২নং ইউনিটের দোতলা শেডের আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। কিন্তু সেখান থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। প্রথমে শ্রমিকরা সেখানে ঢুকে জানালার কাঁচ ভেঙে দেন, যাতে ধোঁয়া বের হতে পারে। কিন্তু আগুনের তীব্রতা বাড়তে থাকলে তারা নেমে এসে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান নেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button