নারী ও শিশু

নারীদের ‘বিশেষ জোন’ উদ্বোধনের ১১ ঘণ্টা পর প্রত্যাহার

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে নারীদের জন্য ‘বিশেষ জোন’ উদ্বোধনের ১১ ঘণ্টা পর তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে জেলা প্রশাসন। সৈকতের ব্যস্ততম লাবণী পয়েন্টে এ জোন করা হয়েছিল। দেশজুড়ে নানা সমালোচনার পর এ জোন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) রাত ১০টায় এ জোন বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (পর্যটন সেল) মো. আবু সুফিয়ান।

জোন বাতিলের বিষয়টি জানিয়ে জেলা প্রশাসনের ফেসবুক গ্রুপে স্ট্যাটাস দেন আবু সুফিয়ান।
সৈকতের লাবণী পয়েন্টে বিজিবি পরিচালিত উর্মি গেস্ট হাউস থেকে সিগাল পয়েন্ট পর্যন্ত ১৫০ ফুট এলাকা নিয়ে তৈরি করা হয়েছিল এ ‘বিশেষ জোন’।

আবু সুফিয়ান বলেন, জেলা প্রশাসন পর্যটকদের মতামতের ওপর সবসময় শ্রদ্ধাশীল। বিভিন্ন সময়ে পর্যটকদের মধ্যে অনেকেই অনুরোধ করেছেন নারী ও শিশু পর্যটকদের জন্য একটি এক্সক্লুসিভ জোন থাকলে ভালো হতো। সে বিবেচনায় বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সিদ্ধান্তে একটি পৃথক এলাকা চিহ্নিত করা হয়। এরপর নারী ও শিশুদের জন্য এক্সক্লুসিভ জোন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এক্সক্লুসিভ জোনে যাদের ইচ্ছা হবে যাবে, অন্য পর্যটকরা তাদের ইচ্ছামতো ঘুরবেন এতে কোনো আইনগত বাধা থাকবে না।

তিনি আরো বলেন, এ সংক্রান্ত সংবাদ বিভিন্ন গনমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হলে বিরূপ মন্তব্য আসতে থাকে। পর্যটকদের মতামতের ওপর সমবসময়ই আমরা শ্রদ্ধাশীল। অতএব তাদের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে নারী ও শিশুদের জন্য ‘বিশেষ জোন’ চালু রাখার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হলো।

এর আগে বুধবার বেলা ১১টায় এ জোন উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ।

এদিকে জেলা প্রশাসনের এ সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন পর্যটকরা। তাদের মতে, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে আলাদা জোন হতে পারে না। দূর থেকে আসা পর্যটকরা একে অপর থেকে আলাদা হয়ে কিংবা স্বামী থেকে স্ত্রী আলাদা হয়ে সমুদ্র স্নান করবে, এতে নিরাপত্তার চেয়ে অনিরাপত্তা ও ঝুঁকির আশঙ্কা বেশি থাকে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button