বিনোদন

নায়ক মান্নার মৃত্যুবার্ষিকী আজ

প্রতিবেদক, বিনোদন

চিত্রনায়ক এস এম আসলাম তালুকদার মান্না। আজ ১৭ ফেব্রুয়ারি নায়ক মান্নার ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০৮ সালের এই দিনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান মান্না। তিনি অনেক সুপারহিট চলচ্চিত্র উপহার দিয়েছেন।

১৯৬৪ সালে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গায় জন্মগ্রহণ করেন নায়ক মান্নার। মৃত্যুর পর তাকে সেখানেই সমাহিত করা হয়। অনেক ভক্ত নায়ক মান্নার কবর দেখতে ভিড় করেন সেখানে।

মান্নার সহধর্মিণী শেলী মান্না সাংবাদিকদের বলেন, এবার তেমন কোনো আয়োজন থাকছে না। তবে ছোট পরিসরে দোয়া মাহফিল করা হবে।

১৯৮৪ সালে বিএফডিসি আয়োজিত নতুন মুখের সন্ধানে কার্যক্রমের মাধ্যমে মান্না চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন। তওবা তার প্রথম অভিনীত সিনেমা।

এরপর ১৯৯২ সালে কাজী হায়াতের দাঙ্গা ও ত্রাস চলচ্চিত্রেও একক অভিনেতা হিসাবে সফলতা পান তিনি। একই বছর তার অভিনীত মোস্তফা আনোয়ারের অন্ধ প্রেম, মনতাজুর রহমান আকবরের প্রেম দিওয়ানা ও ডিস্কো ড্যান্সার, কাজী হায়াতের দেশদ্রোহী, মনতাজুর রহমান আকবরের বাবার আদেশ, অশোক ঘোষের শাদী মোবারক, বুলবুল আহমেদের গরম হাওয়া, সাইফুল আজম কাশেমের সাক্ষাৎ, কামাল আহমেদের অবুঝ সন্তান, দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর গরীবের বন্ধু চলচ্চিত্রগুলো মুক্তি পায়।[

১৯৯৩ সালে তিনি কাজী হায়াতের চাঁদাবাজ, সিপাহী, দেশপ্রেমিক, দেশদ্রোহী, ধর, তেজী ও সমাজ কে বদলে দাও, নুর হোসেন বলাইর ওরা তিনজন ও শেষ খেলা, নাদিম মাহমুদের আন্দোলন, রুটি ও রাজপথের রাজা, এম এ মালেকের দুর্নীতিবাজ, এফ আই মানিক পরিচালিত বিশাল আক্রমন মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর চিরঋণী, এ জে রানা পরিচালিত মানুষ, বেলাল আহমেদ পরিচালিত সাক্ষী প্রমাণ এবং মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত ডিস্কো ড্যান্সার ও বশিরা ইত্যাদি।

মান্না ১৯৯১ সালে মোস্তফা আনোয়ার পরিচালিত কাসেম মালার প্রেম চলচ্চিত্রে প্রথম একক নায়ক হিসেবে চম্পার বিপরীতে অভিনয় করেন। চলচ্চিত্রটি ব্যবসায়িকভাবে সফল হলে, তিনি কয়েকটি চলচ্চিত্রে কাজ করারও সুযোগ পান।
সাফল্য ও জনপ্রিয়তা।

মান্না ১৯৯৭ সালে কাজী হায়াৎ পরিচালিত লুটতরাজ চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেন, যেখানে তার বিপরীতে অভিনয় করেন মৌসুমী ও দিতি। চলচ্চিত্রটি ব্যবসায়িকভাবে সফলতাও পেয়েছিল।এরপর এনায়েত করিমের ক্ষুধার জ্বালা, নাদিম মাহমুদের এতিমরাজা, কাজী হায়াতের তেজী, মনতাজুর রহমান আকবরের শান্ত কেন মাস্তান,[৩০] ইস্পাহানি আরিফ জাহানের মোস্তফা ভাই, দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর রাজা বাংলাদেশী ইত্যাদি চলচ্চিত্রগুলো মুক্তি পায়।

১৯৯৯ সালে মুক্তি পায় কাজী হায়াৎ পরিচালিত আম্মাজান চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, যেখান তার সঙ্গে অভিনয় করেন শবনম, আমিন খান ও মৌসুমী। এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি প্রথম বাচসাস পুরস্কার ও মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার অর্জন করেন।  একই বছর তিনি রায়হান মুজিব ও আজিজ আহমেদ বাবুল পরিচালিত খবর আছে, মালেক আফসারীর লাল বাদশা চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন ও প্রযোজনা করেন।

২০০০ সালে তার প্রযোজিত তৃতীয় চলচ্চিত্র আব্বাজান মুক্তি পায়। এটি দুটি বিভাগে বাচসাস পুরস্কার অর্জন করে। একই বছর তিনি মালেক আফসারী পরিচালিত মরণ কামড়,ছটকু আহমেদ পরিচালিত শেষ যুদ্ধ, মনতাজুর রহমান আকবরের গুন্ডা নাম্বার ওয়ান, কুখ্যাত খুনি, আঘাত পাল্টা আঘাত, মাস্তানের উপর মাস্তান ও ভয়ানক সংঘর্ষ, কাজী হায়াতের বর্তমান, এফ আই মানিকের সুলতান, বদিউল আলম খোকনের দানব, এফ আই মানিক পরিচালিত স্বামী স্ত্রীর যুদ্ধ, যা তার প্রযোজিত চতুর্থ চলচ্চিত্রও এবং কাজী হায়াৎ পরিচালিত সমাজকে বদলে দাও চলচ্চিত্রগুলোতে অভিনয় করেন।

 

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button