
নিবন্ধন করে টিকার অপেক্ষায় রয়েছে প্রায় ৩১ লাখ মানুষ। করোনার সংক্রমণ রোধে প্রথম ডোজের মাধ্যমে দেশের ৭ কোটি ৫০ লাখ ৭০ হাজার ৪৫৪ মানুষ এখন পর্যন্ত টিকার আওতায় এসেছে। আর টিকার জন্য সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধন করেছেন ৭ কোটি ৮২ লাখ ১ হাজার ৬৩৮ জন।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের টিকা বিষয়ক নিয়মিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মোট নিবন্ধনকারীর মধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে ৭ কোটি ৬৬ লাখ ৯২ হাজার ৫৮৪ জন, পাসপোর্টের মাধ্যমে ১২ লাখ ১৯ হাজার ৫০২ জন এবং জন্ম নিবন্ধন সনদের মাধ্যমে ২ লাখ ৮৯ হাজার ৫৫২ জন নিবন্ধন করেছেন।
দেশে এখন পর্যন্ত ৭ কোটি ৫০ লাখ ৭০ হাজার ৪৫৪ জনকে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৫ কোটি ৩২ লাখ ১১ হাজার ৪৬২ জন।
তাদের দেওয়া হয়েছে অক্সফোর্ডের অ্যাস্ট্রাজেনেকা, চীনের তৈরি সিনোফার্ম, সিনোভ্যাক, ফাইজার ও মডার্নার টিকা। নিবন্ধন করে টিকার অপেক্ষায় রয়েছে আরও প্রায় ৩১ লাখ মানুষ।
অধিদফতর জানিয়েছে, গতকাল সোমবার সারাদেশে ৯ লাখ ৫৫ হাজার ৪৮৯ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ৫ লাখ ৮৭ হাজার ৩৮২ জনকে ও দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ৩ লাখ ৬৮ হাজার ১০৭ জনকে।
সোমবার ১ লাখ ৫৮ হাজার ৫৬৬ জন শিক্ষার্থীকে প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। ৬৪ হাজার ৯২২ জন নিয়েছেন দ্বিতীয় ডোজ। সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত ৩৯ লাখ ৫৬ হাজার ১০০ স্কুল শিক্ষার্থী টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে। আর দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে ৫ লাখ ৮ হাজার ১৮৬ জন।
দেশে গত সপ্তাহের মঙ্গলবার থেকে করোনা প্রতিরোধে টিকার বুস্টার ডোজের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৫৮ হাজার ১৭৩ জন বুস্টার ডোজ নিয়েছেন।
সোমবার রাজধানীসহ সারাদেশে ৪৩ হাজার ৪৩৩ জনকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বলছে, সোমবার ঢাকা মহানগরীতে ১২ হাজার ৯৩৬ জন। ঢাকা বিভাগে ২০ হাজার ৪৮৪ জন। ময়মনসিংহ বিভাগে ১ হাজার ৯১২ জন । চট্টগ্রাম বিভাগে ২ হাজার ১০৯ জন। রাজশাহী বিভাগে ৪ হাজার ৬১৬ জন। রংপুর বিভাগে ৫ হাজার ৩০৫ জন। খুলনা বিভাগে ৬ হাজার ৫৯৪ জন। বরিশাল বিভাগে ১ হাজার ৩৫ জন এবং সিলেট বিভাগে ১ হাজার ৩৭৮ জন বুস্টার ডোজ নিয়েছেন।