Sub Lead Newsসারা বাংলা

পাবনায় মাধপুর দিবস পালন

নিহত ১৭ বীরমুক্তিযোদ্ধাসহ ৫০ গ্রামবাসীর স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলী

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

পাবনায় মাধপুর দিবস নিহত ১৭ বীরমুক্তিযোদ্ধাসহ ৫০ গ্রামবাসীর স্মরণে বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। ১৯৭১ এর ২৯ মার্চ। পাবনা জেলার মাধপুর দিবস। এ দিন পাক বাহিনীর সঙ্গে বিপ্লবী জনতার সম্মুখযুদ্ধ হয়। সেদিন এই যুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন ১৭ জন বীরমুক্তিযোদ্ধা এবং ৫০ জন নীরিহ গ্রামবাসী।

প্রতি বছর এই দিনে বীর শহীদ জনতার আত্মত্যাগের প্রতি গভীরভাবে ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলীসহ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
বুধবার বিকেলে পাবনা -৪ (ঈশ্বরদী – আটঘড়িয়া) আসনের সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নুরুজ্জামামান বিশ্বাসের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক মাধপুর দিবস উপলক্ষে ঈশ্বরদী উপজেলার শাহাপুরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ওহিদুল ইসলামের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং কবর জিয়ারত করেন।। একই সঙ্গে তাঁর কবর সংস্কারের জন্য নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেন ।

এ সময় ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মুরাদ আলী মালিথা, জেলা পরিষদের সদস্য তৌফিকুজ্জামান রতন মহলদার, স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক মাসুদ রানা, সাঁডা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ, শাহাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমলাক হোসেন বাবু, ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মুরাদ আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

দাপুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও মাধপুর মুক্তিযোদ্ধা যাদুঘরের সভাপতি এস এম সাজেদুল নিলু বিশেষ দোয়া ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দিবসটি উপলক্ষে তৎকালিন পাবনা এ্যাডওর্য়াড বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ

ছাত্রলীগরে এজিএস ও প্রখ্যাত শ্রমিকনেতা মোহাম্মদ রশীদূল্লাহ জানান, ২৯ মার্চ পাকবাহিনীর একটি সাজোয়া বহর পাবনা থেকে মাধপুর কাঁচা রাস্তা ধরে ঈশ্বরদীর দিকে যাচ্ছিল। পথে মধ্যে সাহাপুরে স্থানীয় গ্রামবাসী, যাঁর কাছে যা আছে, তাই নিয়ে সেদিন সশস্ত্র পাকবাহিনীকে প্রতিরোধ করতে জড়ো হয়েছিল।

নিহত ১৭ বীরমুক্তিযোদ্ধাসহ ৫০ গ্রামবাসীর স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলী

মুক্তিযোদ্ধাদের বাধার সম্মুখীন হয়ে পাকবাহিনী গাড়ি বহর থেকে বৃষ্টির মত গুলি ছুঁড়তে থাকে। ওইদিন মূলত কোনো কমান্ড ও নেতৃত্ব ছাড়াই শুধুমাত্র দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রায় খালিহাতে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। এই যুদ্ধে তৎকালিন ঈশ্বরদী সরকারী কলজে ছাত্রলীগরে সভাপতি হাববিুর রহমান রাজু, আব্দুর রাজ্জাক, ওহদিুর রহমান, আব্দুল গফুর, নুরুল ইসলাম, আলী আহম্মদ, নবাব আলী, হামির উদ্দীন ও ফরমান সরদারসহ ১৭ জন মুক্তিযোদ্ধা ও ৫০ জন নিরীহ গ্রামবাসী শহীদ হন।

পরে প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা ও গ্রামবাসীর প্রতিরোধের মুখে পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী অক্ষত অবস্থায় কেউ ফিরে যেতে পারেনি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button