
পঞ্চম শিরোপা এখন ভারতীয় যুবাদের ঘরে । ইংলিশ যুবাদের চার উইকেটে হারিয়েছে ভারতীয় যুবারা। এর মধ্যদিয়ে পঞ্চম বারের মতো শিরোপা ঘরে তুলল তার।
অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয় গতকাল শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি)। ম্যাচে ১৫ বল বাকি থাকতেই জয় তুলে নেয় টিম ইন্ডিয়ার যুবারা।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ইংলিশ অধিনায়ক টম প্রেস্ট। অধিনায়কের সিদ্ধান্ত ভুল প্রমাণ করতে উঠেপড়ে লাগেন জুনিয়র ব্যাটামঅ্যানরা। ব্যাটিং বিপর্যয়ে ৪৪.৫ ওভারে মাত্র ১৮৯ রানে গুটিয়ে যায় টিম ইংল্যান্ড। জেমস রিউ করেন সর্বোচ্চ ৯৫ রান।
গতবার বাংলাদেশের বিপক্ষে হেরে রানার্সআপ হয়েছিলো তারা। সেবার ভারতকে হারিয়ে প্রথমবার শিরোপার স্বাদ পেয়েছিলো বাংলাদেশের যুবারা।
ম্যাচে ১৫ বল বাকি থাকতেই জয় তুলে নেয় টিম ইন্ডিয়ার যুবারা। টুর্নামেন্টের সর্বাধিক বারের বিজয়ীই কোহলি, যুবরাজ, কাইফদের, উত্তরসূরি টিম ইন্ডিয়া।
ইংল্যান্ডের যুবাদের দেওয়া স্বল্প রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে ইয়াশ ধুলের দল। দ্বিতীয় বলেই উইকেট তুলে নেন ইংলিশ পেসার জশুয়া বয়ডেন। তার আউট সুইংগার ডেলিভারিতে খোঁচা দিয়ে সোজা উইকেট কিপারের হাতে ধরা দেন ওপেনার অঙ্গক্রিশ রঘুবংশী। শুরুর ধাক্কা সামাল দিয়ে ইনিংস গড়তে থাকেন হারনূর সিং ও শাইখ রাশিদ। শান্ত ব্যাটিংয়ে দুজনে ১৭.৩ ওভারে দলের পক্ষে সংগ্রহ করেন ৪৯ রান।
৪৯ রানের মাথায় হারনূর সিং সাজঘরে ফেরেন ৪৬ বলে ২১ রানের ইনিংস খেলে। দলীয় ৯৫ রানে টিম ইন্ডিয়া হারায় তৃতীয় উইকেট। ৫০ রানের দারুণ ইনিংস খেলে জেমস সালেসের বলে ফেরেন শাইখ রাশিদ। পরের ওভারে ফিরেই সেলেস তুলে নেন টিম ইন্ডিয়া অধিনায়ক ইয়াশ ধুলের উইকেট। ১৭ রান করেন তিনি।
তারপর হাল ধরেন রাজ বাওয়া ও নিশান্ত সিন্ধু। দুজনের জুটিতে আসে ৬৭ রান। জয় থেকে ২৫ রান দূরে থাকতে ৩৫ রান করে আউট হন রাজ বাওয়া।
উইকেটকিপার দীনেশ বানা ৫ বলে ১৩ রানের ক্যামিও খেলেন। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫০ রান আসে নিশান্ত সিন্ধুর ব্যাট থেকে।
ইংল্যান্ডের পক্ষে বয়ডেন, জেমস সালেস এবং থমাস অ্যাস্পিনওয়াল ২ টি করে উইকেট নেন।
ভারতের হয়ে আগুনঝরা বোলিং করেন রবি কুমার ও রাজ বাওয়া। রাজ ৩১ রান খরচায় ৫ উইকেট নেন। রবি নেন ৩৪ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট । বাকি থাকা এক উইকেট নেন তামবি।