
পরীক্ষায় অংশ না নিয়েও বৃত্তি পেল মরিয়ম আক্তার। জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করেও প্রাথমিকে প্রথম প্রকাশিত ফলাফলে সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পেয়েছিল মরিয়াম আক্তার নামের এক শিক্ষার্থী।
যদিও সংশোধিত ফলাফলে তার নাম আসেনি। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পরীক্ষায় সময় অসুস্থ হওয়ায় সে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি।
বুধবার (১ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টার পর প্রাথমিকে সংশোধিত ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। তবে আগের ফলে ভুলের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে ফলাফল ঘোষণা করলে সেখানে নাম আসে মরিয়ম আক্তারের। মরিয়াম আক্তার উপজেলার ডালবাড়ি এলাকার মোস্তাফিজুর রহমানের মেয়ে। সে দেওয়ানগঞ্জ সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
মরিয়াম আক্তারের বাবা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘মেধাবৃত্তি পরীক্ষার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিল মেয়ে। তবে পরীক্ষার দুদিন আগে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। সে কারণে তাকে ঢাকায় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মরিয়াম আক্তারের উত্তীর্ণের খবরে তিনি অবাক হয়েছিলেন। তবে সংশোধিত ফলাফলে তার নামে আসেনি।
সরকারি একে মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের হল সুপার ও উৎমারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবেদীন বলেন, ভুলে মরিয়াম আক্তারকে উত্তীর্ণ দেখানো হয়েছে। সে পরীক্ষা দেয়নি। হাজিরা খাতায় তাকে অনুপস্থিত দেখানো হয়েছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফাতেমা সুলতানা জাগো নিউজকে বলেন, কী কারণে এমনটি হয়েছিল তা তার জানা নেই। তবে সংশোধিত ফলাফলে মরিয়ামের নাম আসেনি।