
অভিনেত্রী পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় তার বিরুদ্ধেেএই অভিযোগ গঠন করা হলো। অন্য দুই আসামি হলেন আশরাফুল ইসলাম দীপু ও কবির হোসেন।
সকাল সাড়ে সকাল দশ টায় ঢাকার ১০ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে হাজিরা দেনপরীমনি সহ তিনজন।
আজ বুধবার সকালে ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম অভিযোগ গঠন করেন। এর মধ্যদিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হলো। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে।
আদালতে অভিযোগ পড়ে শোনানোর সময় পরীমনিসহ তিন আসামি নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।
পরীমনি ও বাকি দুজন আইনজীবীর মাধ্যমে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করেছিলেন। বিচারক তাদের আবেদন খারিজ করে দেন।
কয়েক দফা রিমান্ড ও শুনানির পর গত ৩১ আগস্ট মাদক মামলায় জামিন পান পরীমনি। পরদিন তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে মুক্ত হন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পরীমনি ২০১৬ সাল থেকে মাদক সেবন করতেন। এজন্য তিনি বাসায় একটি ‘মিনিবার’ তৈরি করেন। সেখানে নিয়মিত করতেন ‘মদের পার্টি’। চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজসহ আরও অনেকে তার বাসায় অ্যালকোহলসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকের সরবরাহ করতেন ও পার্টিতে অংশ নিতেন।
গত ৪ আগস্ট সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে’ অভিযান চালিয়ে পরীমনিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন। ওইদিনই রাত ৮টা ১০ মিনিটে পরীমনিকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে করে র্যাব সদরদপ্তরে নেওয়া হয়। সেখানে রাত ১২টা পর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে র্যাব।
পরদিন ৫ আগস্ট বিকেল ৫টা ১২ মিনিটে পরীমনি, চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ ও তাদের দুই সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপু ও সবুজ আলীকে মাইক্রোবাসে করে বনানী থানায় নেওয়া হয়। এরপর র্যাব বাদী হয়ে বনানী থানায় পরীমনি ও তার সহযোগী দীপুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে। পৃথক মামলা হয় রাজ ও তার সহযোগী সবুজ আলীর বিরুদ্ধেও।
সেই মামলায় পরীমনিকে ওইদিনই আদালতে হাজির করা হলে প্রথমে চারদিনের রিমান্ড ও পরে আরও দুই দফায় তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়।
৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে প্রতিবেদন দাখিল হওয়া পর্যন্ত পরীমনির জামিন মঞ্জুর করেন। মামলায় গ্রেফতার হওয়ার প্রায় এক মাস পর ১ সেপ্টেম্বর কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে মুক্তি পানপরীমনি ।