
পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের জলসা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করার সময় পুলিশ ও মুসল্লিদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পুলিশ ও মুসল্লিদের মধ্যে সংঘর্ষে দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার টায়এ খবর জানিয়েছেন পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার ।
পুলিশ সুপার বলেন, মারা যাওয়া দুজনের মধ্যে একজন কাদিয়ানি সম্প্রদায়ের ও আরেকজন সাধারণ মানুষ। প্রশাসনের অনুরোধে আহমদিয়া সম্প্রদায় নেতারা তাদের সালানা জলসা স্থগিত করেছেন। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর মুসল্লিরা পঞ্চগড় শহরে মিছিল বের করলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশ ও সাংবাদিকসহ অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরিফুর রহমান (২৭) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। তিনি মসজিদপাড়া এলাকার ফরমান আলীর ছেলে।
অপর দিকে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ইঞ্জিনিয়ার জাহিদ হাসান (২২) নামের যুবক মারা গেছেন। সে নাটোরের বনপাড়ার বাসিন্দা। হামলাকারীরা তাকে ধরে নিয়ে আহমদনগড় এলাকার করতোয়া নদীর ধারে নিয়ে পিটিয়ে মারে বলে জানিয়েছেন সালানা জলসা আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক মাহমুদ আহম্মেদ সুমন।
গতকাল জুমার নামাযের পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের সঙ্গে মুসল্লিদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। শহরে দোকানপাট ও যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজিবি ও র্যাব মোতায়েন করা হয় । বিকেলে কাদিয়ানি সম্প্রদায়ের আহম্মদনগর জামাত এলাকার বাড়িগুলোতে বিক্ষুব্ধ জনতা হামলা চালায়। তখন প্রায় ২৫টি বাড়িতে আগুন দেয় হামলাকারীরা। সন্ধ্যার পর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়।