Sub Lead Newsআন্তর্জাতিক

বরিস জনসনের চার সহযোগী পদত্যাগ করেছেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

বরিস জনসনের চার সহযোগী পদত্যাগ করেছেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন তার দপ্তর এবং ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে বার বার মদের পার্টির আয়োজন করে মহাবিপদ ডেকে এনেছেন।

নিজের ইমেজ উদ্ধারে বারংবার চেষ্টা করছেন তিনি। প্রশাসনকে ঢেলে সাজাতে গিয়ে এবার বরিস জনসনের চারজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী পদত্যাগ করার খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) পদত্যাগ করেন তারা।

শুধু লকডাউনের মধ্যে মদের পার্টির আয়োজনে যোগ দেওয়া নয়, বরিস জনসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, গত বছরের ১৭ এপ্রিল ফিলিপের শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়ার সময়ও ডাউনিং স্ট্রিটে পার্টির আয়োজন করা হয়। আর সেটি ছিল বরিস জনসনের যোগাযোগবিষয়ক পরিচালক জেমস স্ল্যাকের বিদায় উপলক্ষে।

সারা দেশে তখন ফিলিপের মৃত্যুতে জাতীয় শোক চলছিল। তবে এ ঘটনায় রানির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি। তবে নিজ দলের লোকজন তো বটেই তার পদত্যাগের দাবি জোরালো হচ্ছে গোটা দেশে। তার কনজারভেটিভ পার্টির আইনপ্রণেতারা এরই মধ্যে তার পদত্যাগ দাবি করেছেন।

বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর শীর্ষ তিন সহযোগী- চিফ অব স্টাফ রোজেনফিল্ড, প্রিন্সিপাল প্রাইভেট সেক্রেটারি মার্টিন রেনল্ডস, যোগাযোগবিষয়ক পরিচালক জ্যাক ডয়েল এবং তার প্রধান রাজনৈতিক কৌশলি মুনিরা মির্জা পদত্যাগ করেছেন।

পদত্যাগ করা কর্মকর্তাদের মধ্যে তিনজন ডাউনিং স্ট্রিটের পার্টিতে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। কনজারভেটিভ পার্টির দুজন শীর্ষ নেতা বলেছেন যে, এটি জনসনের প্রশাসনে পুনঃস্থাপনের সূচনা বলে মনে হচ্ছে।

গত সোমবার বরিস জনসন সরকারের প্রশাসনিক পদে পরিবর্তন আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। আইনপ্রণেতা স্টুয়ার্ট অ্যান্ডারসন এক টুইটার বার্তায় বলেন, আজ রাতে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে পরিবর্তনটি ঘটতে শুরু করেছে ও আমি প্রধানমন্ত্রীর এই দ্রুত পদক্ষেপকে স্বাগত জানাই। তার এই টু্ইট বার্তার পরপরই সমালোচনার ঝড় উঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

দ্য টেলিগ্রাফ তাদের এক প্রতিবেদনে জানায়, ২০২১ সালের ১৬ এপ্রিল রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ তার স্বামী প্রিন্স ফিলিপের মৃত্যুতে শোক পালনের সময়ও প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ডাউনিং স্ট্রিটের কার্যালয়ে কর্মীরা আরও দুটো মদের পার্টি করেন। ওই সময়ও জনসমাগমের নিষেধাজ্ঞা ছিল।

২০২০ সালের ২০ মে মদের পার্টির আয়োজন হয় ডাউনিং স্ট্রিটে, যখন সারাদেশে লকডাউন জারি ছিল। সম্প্রতি পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্বে ওই ঘটনার জন্য বরিস জনসন বার বার ক্ষমাও চেয়েছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button