Top Newsশিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গন

দাবি মানার আশ্বাস

জানাজা শেষে বাড়ির পথে হিমেলের মরদেহ

প্রতিবেদক, রা.বি ক্যাম্পাস

জানাজা শেষে বাড়ির পথে হিমেলের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ট্রাকচাপায় ছাত্র নিহতের ঘটনায় উপাচার্য সব দাবি মানার আশ্বাস দিয়েছেন উপাচার্য । আশ্বাসের পর ক্যাম্পাসে জানাজা শেষে দাফনের জন্য বাড়ির পথে নেয়া হয়েছে মাহবুব হাবিব হিমেলের মরদেহ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের , কারুশিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের সামনে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হিমেলের মরদেহ আনা হয়। এরপর নেয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে।

উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার শিক্ষার্থীদের ছয়টি দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দেন।

তিনি বলেন, আমরা হিমেলের মায়ের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর ৫ লাখ টাকা দিয়ে শুরু করলাম। পর্যায়ক্রমে আরও দেয়া হবে।

তিনি বলেন, হিমেলের মায়ের আজীবন চিকিৎসা খরচ বিশ্ববিদ্যালয় বহন করবে। শুধু তাই নয়, আহত দুই ছাত্রের চিকিৎসার সব খরচও বিশ্ববিদ্যালয় দেবে। এই ঘোষণার পর শিক্ষার্থীরা তাদের অবস্থান থেকে সরে যান।

মঙ্গলবার রাতে শিক্ষার্থীরা জানান, ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১০ কোটি টাকার চেক হিমেলের পরিবারের কাছে হস্তান্তর না করলে তারা ক্যাম্পাস থেকে লাশ নিয়ে বের হতে দেবেন না। জানাজার আগেই চেক হস্তান্তর নিশ্চিত করতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হলের সামনে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে একটি মোটরসাইকেলকে চাপা দেয় পাথরবাহী একটি ট্রাক। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের গ্রাফিক ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মাহবুব হাবিব হিমেল। বাইকের অন্য দুজনও আহত হন।

শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে থাকা পাঁচটি ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয়। বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনে গিয়ে রাজশাহী-ঢাকা সড়ক অবরোধ করেন। এরপর দাবি নিয়ে উপাচার্যের বাসার সামনে অবস্থান নেন।

পরিস্থিতি সামলাতে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করলে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করে। বিক্ষোভের মুখে রাতেই ক্যাম্পাস থেকে অতিরিক্ত পুলিশ প্রত্যাহার করে নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

রাত ২টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সামনে প্রক্টরকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন উপাচার্য।

ছাত্রছাত্রীরা বলেন, আমরা এমন অন্যায় আর মেনে নেবো না। এর আগে প্রশাসনের অবহেলায় রাবি অডিটোরিয়ামের ছাদ থেকে পড়ে নির্মাণ শ্রমিক মারা যান। আজ আমার ভাই মারা গেলেন। এছাড়া ক্যাম্পাসে বারবার ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে বলেও বলেন ছাত্রছাত্রীরা।

তখন তারা প্রক্টর -এর পদত্যাগ দাবি করেন। তারা বলেন, আমার ভাই নিহত হয়েছে, প্রক্টর ঘটনাস্থলে আসেননি।আমরা প্রক্টরের পদত্যাগ চাই।

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button