
বেড়েই চলেছে সব ধরনের চালের দাম। নিত্যপ্রয়োজনীয় অন্য দ্রব্যের পাশাপাশি বেড়েছে মোটা চালের দাম। বিপাকে নিম্নবিত্ত শ্রেণির মানুষ। মোটা চালের দাম এখন পঞ্চাশের কোটায়।
সরকারের খোলা বাজারে বিক্রি কার্যক্রমের ওপর ভরসা করছে এক শ্রেণির সাধারণ মানুষ।
রাজধানীর নিম্নবিত্ত শ্রেণির কয়েকজন জানান, তাদের সংসারের এখন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যয় চালের পেছনে। যা অন্য খরচের তুলনায় দ্রুত বাড়ছে।
পরিসংখ্যার ব্যুরো ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, দেশে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে চালের গড় দাম ৪০ টাকার নিচে ছিল। আর ১০ বছর আগে ২০১১-১২ সালে ছিল ৩৩ টাকা ২০ পয়সা। ১৫ বছর আগে ২০০৬-০৭ সালের দিকে ছিল ১৮ টাকা ৭৭ পয়সা।
রাজধানীর রামপুরা, মালিবাগ, শান্তিনগর ও সেগুনবাগিচা বাজার ঘুরে দেখা যায়, এসব বাজারে এখন স্বর্ণা-৫ ও গুটি স্বর্ণা জাতের মোটা চালের প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকা কেজিতে। আর সরু চালের মধ্যে মাঝারি মানের চালের দাম ৬২ থেকে ৬৬ টাকা।
বাবুবাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলেছেন, বাজারে আমন মৌসুমের ধান স্বর্ণা ও গুটি স্বর্ণার সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় এসব চালের দাম কমছে। খুচরা বাজারে এসব মোটা চালের দাম কমার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি।
খাদ্য সচিব ড. মোছাম্মাৎ নাজমানারা খানুম বলেন, ওএমএসের কারণে সুফল মানুষ পাচ্ছে। প্রচুর মানুষ কম দামে চাল কিনছে। তাতে সার্বিক বাজারে কিছুটা হলেও দাম কমেছে।
তথ্য বিশ্লেষণ করে জানা যায়, ১৯৭০-৭১ সালে দেশে মোট খাদ্যশস্যের উৎপাদন ছিল এক কোটি ১০ লাখ টন। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার কোটি ৫৩ লাখ টন। ১৯৭২ সালে যেখানে একজন মানুষ প্রতিদিন খাদ্য পেতেন ৪৫৬ গ্রাম, তা ২০২০ সালে বেড়ে হয়েছে ৬৮৭ গ্রাম। বেড়েই চলেছে সব ধরনের চালের দাম