
বৈঠকে বসছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।পাশ্চাত্যের দেশগুলোর সামরিক জোট নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশনকে ঘিরে রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যকার দ্বন্দ্ব ক্রমশ গুরুতর রূপ নিতে থাকার মধ্যেই এই বৈঠকে কসছেন তারা।
হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, স্থানীয় সময় শনিবার সকালে ভার্চুয়ালিএই বৈঠকে বসছেন তারা। রাশিয়া সোমবার বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছিল, জবাবে আমরা বলেছি শনিবারই এই বৈঠক হতে পারে । রাশিয়া আমাদের প্রস্তাব গ্রহণ করেছে।
ন্যাটোকে রাশিয়া বরাবরই পাশ্চাত্য শক্তিসমূহের আধিপত্য বিস্তারের হাতিয়ার হিসেবে মনে করে। ঐতিহাসিকভাবেই বিশ্বের বৃহত্তম দেশ রাশিয়া পাশ্চাত্য আধিপিত্যবাদের বিরোধী।
ডিসেম্বর থেকে ইউক্রেন-রাশিয়া সীমান্তে প্রায় ১ লাখ সেনা মোতায়েন রেখেছে রাশিয়া। ২০১৪ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে দখল করা ক্রিমিয়া দ্বীপের বিভিন্ন এলকায়ও সেনা উপস্থিতি বাড়াচ্ছে দেশটি।
সীমান্তে রুশ সেনা মোতায়েনের পর থেকেই এ বিষয়ে ব্যাপকভাবে সরব হয়ে উঠেছে ন্যাটোর নেতৃত্বদানকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রায় প্রতিদিনই বলছেন— রাশিয়া যে কোনো সময় ইউক্রেনে হামলা করতে পারে।
যদি রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করে, সেক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও রুশ সরকারকে কঠিন মূল্য দিতে হবে বলে বার বার হুঁশিয়ারিও দিচ্ছেন বাইডেন।
মস্কো যদিও বলেছে, ইউক্রেনে হামলার কোনো পরিকল্পনা রাশিয়ার নেই, কিন্তু তাতে একেবারেই আস্থা রাখতে পারছে না যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ। তবে রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ— সব পক্ষই একমত যে এই সংকটের সুরাহা এখনও কূটনৈতিকভাবে হওয়া সম্ভব।
এর মধ্যে অবশ্য গত ৭ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ায় গিয়ে এ বিষয়ে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ন্যাটোর অন্যতম সদস্যরাষ্ট্র ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ; কিন্তু সেই বৈঠকে মূল সংকট যে কাটেনি— তা স্বীকার করেছেন ম্যাক্রোঁ নিজেই। এত কিছুর পর বাইডেন-পুতিন বৈঠকে বসছেন।