বোমা, গ্রেনেড আমি পরোয়া করিনা: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বোমা, গ্রেনেড আমার জন্য অপেক্ষা করে থাকে আমি মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য কাজ করি। যে কোনো সময় আমি জানি অনেক বুলেট, । আমি কখনো সেগুলো নিয়ে পরোয়া করি না। আমি জানি স্বাধীনচেতা হলে অনেক বাধা আসে। আর দেশকে ভালোবেসে, শুধু দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে যারা পথ চলে, তাদের পথ চলা কখনও সহজ হয় না।
রোববার সকালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের স্বীকৃতি প্রদান আনুষ্ঠানিকভাবে উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন তিনি।
তিনি বলেন, চিরদিন কেউ বাঁচে না। যেই কাজ আমরা করে গেলাম, সেই গতি যেন হারিয়ে না যায়, চলার গতি যেন অব্যাহত থাকে, বাংলাদেশ যেন এগিয়ে যায়- সেটাই আমরা চাই।
তিনি বলেন, স্বাধীনচেতা হলে অনেক বাধা আসে। দেশকে ভালোবেসে, শুধু দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে যারা পথ চলে—তাদের পথচলা কখনো সহজ হয় না। অনেক বাধা অতিক্রম করতে হয়।
সব বাধা অতিক্রম করে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, চলার পথ যত অন্ধকারাচ্ছন্ন, বন্ধুর বা কণ্টকাকীর্ণই হোক না কেন—আমরা থেমে থাকবো না। যত রক্তক্ষরণ হোক সব পদদলিত করে বাংলাদেশের জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে এগিয়ে যাবো। এটাই হচ্ছে আমার প্রতিজ্ঞা।
সহযোগীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য কাজ করি। আর যারা সহযোগী, আমার সঙ্গে আছেন—তাদের কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই। তারা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছেন।’
নতুন প্রজন্ম দেশের অগ্রগতি অব্যাহত রাখবে আশা প্রকাশ করে শেখ হাসিনা । তিনি বলেন, আমার যে লক্ষ্য, যেটা আমার বাবা, আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লক্ষ্য ছিল, আমাদের সেই লক্ষ্য অর্জন করতেই হবে। সেই লক্ষ্য অর্জনের জন্য এগিয়ে যেতে হবে। নতুন প্রজন্ম এই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বিজয়ী জাতি, মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছি। বিশ্বদরবারে বিজয়ী জাতি হিসেবে সম্মান নিয়ে মাথা উঁচু করে আমরা চলবো। চিরদিন কেউ বাঁচে না। সব শেষে আবার তিনি বলেন, আমি মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য কাজ করবো।