
শিশুকালে আমার দাদির কাছে
রাক্ষস-ভূতের গল্প শুনে বিরক্ত হতাম খুব
—এ আবার হয় নাকি! শুধু ভয়ে মরি!
দাদি বলতেন, হয় হয়, বড় হলে বুঝে যাবি।
ভূত-রাক্ষসের এ রকম সরলীকরণ আজও
আমার মগজে জ্যামিতিক ছবি আঁকে
একটি সরলরেখা দ্বিখণ্ডিত করবার জন্য
একটি তরবারি হয়ে আসে উপরি সরলরেখা
জামার আস্তিনে লুকিয়ে প্রাচীন সেই পদ্ধতিতে
চোখের গভীরে উঁকি দেয় ইউক্লিড…
আরো কিছু পথ হাঁটি— জীবনধারণ লড়াইয়ে
হাহাকার দেখি চতুর্দিক দানবের আস্ফালনে
ফিরে দেখি—
আর্যভট্ট আর আর্কিমিডিসের নানাসূত্রকর্মে
জটিল ধাঁধার অট্টালিকা গড়ে…
দেহে কিছু পোকা করে অদৃশ্য কুট্কুট কাটাকুটি
তেমনি হেঁসেলে চলে ইঁদুরের ঢের উপদ্রব
সমাজে তেমনি, দেশে দেশে, তাও চলে অবিরাম।
অংক আর বর্ণ এলোমেলো এদিক সেদিক ছোটে
বীজগণিতের সূত্র জটিল চক্রান্ত ছুঁড়ে দিয়ে
আড়ালে দাঁড়িয়ে হাসে আল্-খাওয়াজমী…
অথচ আশ্চর্য!
মনীষীর দেয়া মহৌষধ বর্মগিঁটে বন্দি করে
একে অপরের পিঠ চুলকায়…
দাদি যদি বেঁচে থাকতেন, তবে বলতাম,
—ভূত ও রাক্ষস প্রতিদিন দেখি
ওদের সাথেই আমাদের বাঁচামরা…