
মারা গেছে সেই নারী ফেরিওয়ালার মেয়ে। খুলনার ফেরিওয়ালা তসলিমা বেগম মুসলিমার মেঝ মেয়ে তানজিলা রহমান নওরিন (১০) সোমবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে মারা যায়।
তসলিমা বেগম মুসলিমা জানান, রোববার রাত থেকে নওরিনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। মেয়েটা আমাদের ছেড়ে চলে গেছে। প্রথমে তার লিভারের সমস্যা ধরা পড়েছিল। নিজের সর্বোচ্চ ও মানুষের সহায়তায় তার চিকিৎসা করা হয়। তবুও নওরিনকে বাঁচানো গেল না।
মুসলিমা জানিয়েছিলেন, কয়েকদিন আগে নওরিনের চোখ-মুখ হলুদ হয়ে যায়। প্রসাবে জ্বালাপোড়া ও পেটে ব্যথা শুরু হয়। কিছু খেতে পারছিল না। তাকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করি। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় আমার মেয়ের লিভারে সমস্যা ধরা পড়ে। শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে চিকিৎসকরা ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন।
টাকার অভাবে ঢাকা যেতে পারছিলাম না। পরে স্থানীয় এক দোকান মালিকের কাছ থেকে ধার করে কিছু টাকা নিয়ে বঙ্গবন্ধু ১৬ ফেব্রুয়ারি শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আসি। হাসপাতালের পঞ্চম তলায় শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিল নওরিন।
মুসলিমা বলেছিলেন, কয়েক মাস আগে তার ছোট ভাই মারা গেছে। তার কিছু দিন পর মা মারা যায়। স্বামীর হার্টের সমস্যা। সর্বশেষ মারা গেছে মেয়ে।