
বাংলাদেশ শিল্পী সমিতির বর্তমান কমিটির সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানসহ কার্যকরী কমিটির বিরুদ্ধে তেঁজগাও থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। সমিতির ২৪০ জন সদস্যের চাঁদা নিয়ে রশিদ না দেওয়ার অভিযোগে শনিবার (৮ জানুয়ারি) রাতে এ জিডি করা হয়েছে।
জিডির নাম্বার ৩৮৮। তেঁজগাও শিল্পাঞ্চল থানায় জিডি লিপিবদ্ধ করা হয়। ২৪০ জন শিল্পীর পক্ষে জিডি করেছেন মকবুল হোসেন আরমান।
জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২৪০ জন সদস্য শিল্পী সমিতির বার্ষিক চাঁদা হিসেবে জনপ্রতি ২৪০০ টাকা করে সমিতি কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত জাকির ও জামালের কাছে জমা দিয়েছেন। চাঁদার রশিদ সাথে সাথে দেওয়ার কথা থাকলেও ১৫ দিন ধরেই দিচ্ছি দিচ্ছি বলে দিচ্ছে না। জাকির ও জামালের কাছে গেলে তারা জানায়, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষর করছেন না, আমি কী করবো। আজ সদস্যদের চাঁদা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল। কিন্তু আজ অবধি আমরা আমাদের চাঁদা জমা দেওয়ার কোনো রশিদ পাইনি। কিন্তু মিশা-জায়েদ খান প্যানেলের সব সদস্যদের চাঁদার রশিদ দেওয়া হয়েছে।
জিডিতে আরমান আরও অভিযোগ করেছেন, একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পারলাম, আমাদের টাকায় রশিদ কেটে মিশা-জায়েদ সদস্যদেরকে পাঠিয়ে বলছে- তোমাদের টাকা আমি দিয়ে দিলাম। আজ ৮ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টায় জাকির ও জামালের কাছে রশিদ চাইতে গেলে তারা বলে- আপনাদের টাকা ফেরত নিয়ে যান। জায়েদ খান নিয়মিত অফিস করলেও আমাদের রশিদে স্বাক্ষর করেনি। মিশা-জায়েদ প্যানেলের সদস্যরা নিজেদের প্যানেলের স্বার্থেই এই পন্থা অবলম্বন করেছে। তাই ভবিষ্যতের জন্য ডায়েরি করা প্রয়োজন।
এ প্রসঙ্গে আসন্ন শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুণও অভিযোগ পেয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানান। তিনি বলেন, আমি শুনেছি অনেক শিল্পীরা চাঁদা দিলেও তা গ্রহণ করছে না সমিতি। রশিদ দিচ্ছে না। আবার যার রশিদ তাকে না দিয়ে অন্য জনকে রশিদের ছবি পাঠানো হচ্ছে। আমি জেনেছি ২৪০ জন সদস্যদের পক্ষ থেকে জিডি করা হয়েছে। সা
এ ব্যাপারে শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার সাড়া মেলেনি।
২৮ জানুয়ারি ২০২২-২৪ মেয়াদে শিল্পী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে বর্তমান কমিটির সভাপতি মিশা -জায়েদের এই প্যানেলে নির্বাচন করবেন। অন্য প্যানেলে নেতৃত্ব দেবেন ইলিয়াস কাঞ্চন ও নিপুণ।