
মিশা-জায়েদ খান প্যানলের নির্বাচনের ইশতেহার। কয়েকদিন পর চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। ২০২২-২৪ মেয়াদে সমিতির দায়িত্ব নিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে দুটি প্যানেল। যার একটি গত দুই মেয়াদে দায়িত্বে থাকা মিশা-জায়েদ প্যানেল এবং অন্যটি ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেল।
২৩ জানুয়ারি ছিল মিশা-জায়েদ প্যানেলের পরিচিতি পর্ব। সেই অনুষ্ঠানে নিজেদের এবারে শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ইশতেহার তুলে ধরেন সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর।
তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে অনেকেরই বাড়ি-গাড়ি আছে। অনেকের আবার নেই। যাদের নেই, তাদের থাকার ব্যবস্থা করার জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আপিল করব, যেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ১০-২০ বিঘা জায়গার মধ্যে শিল্পীদের থাকার জন্য একটা ব্যবস্থা করে দেন। শিল্পী সমিতি এবার দায়িত্বে এলে এটি নিয়ে সবচেয়ে বেশি কাজ করবে।
মিশা আরও বলেন, এটা কিন্তু মিথ্যা লোভ না। সরকার এরই মধ্যে শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট করে দিয়েছে। এটার জন্য খেয়ে না খেয়ে মন্ত্রণালয় পড়ে থেকেছি, বারবার বলেছি এবং সেটা প্রধানমন্ত্রী করে দিয়েছেন। মিশা জানান, শিল্পী সমিতির কোষাগারে ১২ লাখ টাকা আছে। এটাকে ৫০ লাখ করার লক্ষ্য তাদের।
মিশা বলেন, আমরা ঠিক বললাম না ভুল বললাম, বিগত চার বছর কী করেছি কী করিনি, তা বিবেচনা করে ভোট দেবেন। অনেকে আপনাদের আম-কলা দেখাবে, আমরা বিচি কলা সঠিকভাবে দিতে পেরেছি। আমরা ভাত দিতে পারলে ভাত দেব, পোলাওয়ের কথা বলব না।
সমিতি থেকে কিছু শিল্পীর সদস্যপদ বাতিল হওয়ার বিষয় নিয়েও কথা বলেন মিশা। তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে আইনের জটিলতা দূর হোক। আমি ওয়াদা করছি, যারা যোগ্য তাদের ফিরিয়ে আনবো,যারা যোগ্য না তাদের কাউকে নেয়া হবে না ।